দৈনিকবার্তা-নীলফামারী, ২৮ জানুয়ারি: রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। তারা রেললাইন তুলে ফেলে, রেলে আগুন দেয়। জামায়াত-শিবির আজ বিএনপির ওপর ভর করেছে। যারা স্বধীনতায় বিশ্বাস করে না তাদের উসকানি দিচ্ছে বিএনপি।’
বুধবার দুপুর ১টায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেলস্টেশনে চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী নীলসাগর ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই রেলপথ ছিল অবহেলিত। যখন চার দলীয় জোট ক্ষমতায় ছিল তারা রেলপথ আধুনিকায়ন করেনি। কোনো বগি ও ইঞ্জিন ক্রয় করেনি। সংস্কার করেনি রেললাইন।’তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে এতো ভালোবাসেন যে, দেশের মানুষের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে ক্ষমতায় এসেই ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয় আলাদা করেছেন। এ মন্ত্রণালয়ের ২০ হাজার কোটি টাকার ২১টি প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প চলমান। এগুলো চালু হলে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক রেলপথ হবে এটা।’
এলাকাবাসীর দাবির পেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন,‘এই এলাকার মানুষের কাছে বরেন্দ্র, সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পযার্য়ক্রমে এসব ট্রেনও চালু করা হবে।’এর আগে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আমি যতদূর জেনেছি লোকবলের অভাবে নীলসাগর ট্রেন চালু হতে দেরি হচ্ছে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ঢাকায় আসবেন। তিনি আসলে স্থলবন্দরের ব্যাপারে আমি নিজেই কথা বলব। আশা করি, এটি চালু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত যেভাবে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে তাতে করে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমল কৃষ্ণ ভট্টচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরল ইসলাম সুজন, নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের (পাকশী) মহা-ব্যবস্থাপক আব্দুল আওয়াল ভূঁইয়া, নীলফামারী জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়া, ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল প্রমুখ।