দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮জানুয়ারি: কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়াচৌধুরী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি জমি সুরক্ষার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন৷কৃষিমন্ত্রী বুধবার রাজধানীর দারম্নস সারাম রোডে অবস্থিত হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এইচবিআরআই)৪০তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান৷
গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এইচবিআরআই চত্বরে আয়োজিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন৷ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম বজলুল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এইচবিআরআই পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক৷
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বেগম মতিয়া চৌধুরী ইট তৈরিতে কৃষি জমির উপরিভাগ না কাটার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কৃষিজমির উপরিভাগ কাটা হলে তিনি খুবই ব্যথিত ও কষ্ট পান৷কৃষি থেকে আমরা কোনোভাবেই বেরিয়ে আসতে পারবো না উলেস্নখ করে মন্ত্রী বলেন, শ্রম শক্তিকে কাজে লাগাতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে অধিক খাদ্য উত্পাদনের দিকে নজর দিতে হবে৷বেগম মতিয়া চৌধুরী সরকার গৃহীত প্রকল্প সঠিকভাবে বাসত্মবায়নের ওপর গুরম্নত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ও আয় উভয়ই বাড়ছে৷ এর সাথে সাথে রুচিরও পরিবর্তন হচ্ছে৷ তাই এখন আমােেদরকে প্রযুক্তি নির্ভর ও বাসত্মবসম্মত কার্যক্রম হাতে নিয়ে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে৷
গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনবহুল আমাদের এ দেশে কৃষি জমির সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে উলেস্নখ করেন৷তিনি বলেন, পরিকল্পিত আবাসন গড়ে কৃষিজমি রৰা না করা হলে আগামিতে দেশ খাদ্য সংকটের ঝুকিতে পড়তে পারে৷ তাই কৃষি জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা অত্যনত্ম জরম্নরি৷ পরিকল্পিত নগরায়নের সাথে সাথে গ্রামাঞ্চলের বাড়িঘর নির্মাণেও কৃষিজমি রৰার প্রতি বিশেষ গুরম্নত্ব দিতে হবে৷
গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রী বলেন,কৃষিজমি বাঁচিয়ে কিভাবে আধুনিক ও বাসত্মবসম্মত বিভিন্ন পাইলট প্রকল্প বাসত্মবায়ন করা যায় সেদিকেই আমরা বেশি নজর দি”িছ৷ এসময় তিনি ন্যাশনাল হাউজিং অথিরিটিকে কাজে লাগানোরও আহ্বান জানান৷
স্বাগত বক্তব্যে এইচবিআরআই পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক বলেন, কৃষি প্রধান বাংলাদেশে কৃষিজ জমি ক্রমবর্ধমান হারে কমে যাচ্ছে৷গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, দেশে গড়ে প্রতিদিন ৬৯২ একর কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে৷ এর মধ্যে বাড়ি নির্মাণে ৮০ ভাগ এবং ইট ভাটা তৈরী কাজে ১৭ দশমিক ৪ ভাগ কৃষি জমি ব্যববহৃত হচ্ছে৷ এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশে অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘি্নত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷
সরকার ঘোষিত সকলের জন্য আবাসন এবং কৃষি জমি রক্ষায় যাতে ভুমিকা রাখতে পারে সেজন্য এইচবিআরআই বেশ কয়েকটি গবেষণা পরিচালনা করছে বলে জানান মোহাম্মদ আবু সাদেক৷ এসব গবেষণার মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হল- ফোরোসিমেন্ট ব্যবহার করে গ্রাম ও শহরে ব্যয় সাশ্রয়ী বহুতল ভবন নির্মাণে গবেষণা৷ ড্রেসিং সয়েল ব্যবহার করে রোদে শুকানো ইট প্রচলনে গবেষণা; প্রচলিত সিজিআই সিটের পরিবেশ বান্ধব ও দীর্ঘস্থায়ী বিকল্প উদ্ভাবন ও প্রচলন; কারকানা ও গৃহস্থালী বর্জ্য ব্যবহারে নির্মাণ বস্নক তৈরীকরণ ও প্রচলন এবং ব্যয় সাশ্রয়ী ভূমিকম্প সহনীয় নির্মাণ কৌশল ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রচলনে গবেষণা প্রমুখ৷