দৈনিকবার্তা-রংপুর, ২৫ জানুয়ারি: বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ২০১৩ সালের ৬ মে যে ইনসিডেন্ট হয়েছে এবং ২ জন সৈনিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে, এই সুযোগটা আর দিতে পারি না৷ আমার সৈনিকরা আক্রান্ত হলে প্রয়োজনে গুলি করবে৷ কারণ অস্ত্রছাড়া তো আর কিছুই তাদের কাছে নাই৷ রোববার সকালে বিজিবি উত্তর পশ্চিম রিজিয়ন সদর দপ্তর রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন৷বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আত্মরক্ষা ও জনগণের জানমাল রক্ষায় প্রয়োজনে বিজিবি গুলি করতেও দ্বিধাবোধ করবেনা৷ সে বর্ডারে হোক আর এখানেই হোক৷ নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া বিজিবির কর্তব্য৷
তিনি বলেন, আমরা জানি কোন জিনিসটা করলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে আর কোন জিনিসটা করলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে না৷ আমার অধিকার আমার বেঁচে থাকা৷ আমার অধিকার জনগণের জীবন বাঁচানো৷ যে কোনো সন্ত্রাসীকে নিবৃত করেই তাদের( জনগণকে) বাঁচানো৷ এটা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে৷ বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সরকার আমাদের জনগণের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব দিয়েছে৷ তাই সন্ত্রাসীরা যদি নিরীহ জনগণের ওপর আক্রমণ করে, তাদের হত্যা করার চেষ্টা করে, তবে সন্ত্রাসীরা সে সময় আমাদের সৈনিকদের সামনে পড়লে অবশ্যই তাদের নিবৃত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া আছে৷
আজিজ আহমদ বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে কোনো কাজ বিজিবি করে না৷ বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের সকলের৷ জনগণের জীবন বাঁচাতে যে কোনো সন্ত্রাসীকে নিবৃত করে জনগণকে রক্ষা করা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে৷ এ কর্তব্য পালনে গুলি করতে হলে সেটাও করতে হবে৷তিনি বলেন, বিজিবি অবৈধ কোনো কাজ আগেও করেনি, ভবিষ্যতে করবেও না৷
এর আগে বিজিবি মহাপরিচালক, রংপুর রিজিয়নের নব-নির্মিত অফির্সাস কোয়াটার, এসএম ব্যারাক, অফিস বিল্ডিং ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন৷ এসময় রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন৷ পরে দুপুরে তিনি সৈনিক অফির্সাসদের অংশগ্রহণে দরবার অনুষ্ঠানে অংশ নেন৷ এরপর বিজিবি মহাপরিচালক তিস্তা বাঁধের নিকটবর্তী দু’টি ব্যাটালিয়ন স্থাপনের প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন করেন৷ এ সময় বিজিবির ঊধর্্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন৷