দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি: এলিট ফোর্স র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অবরোধে নাশকতাকারীদের সম্পর্কে কেউ কোন তথ্য ও গ্রেফতারে সহায়তা করলে তাকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা ও সর্বনিন্ম ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে৷
ককটেল নিক্ষেপকারী সম্পর্কে সঠিত তথ্য, গাড়িতে বোমা ও অগি্নসংযোগ করার ভিডিও সরবরাহ করলে ১০ হাজার টাকা, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীদের সম্পর্কে তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা, ককটেল নিৰেপকারীদের হাতেনাতে গ্রেফতারে সহায়তা করলে ২৫ হাজার টাকা, টিভি চ্যানেলে দেখানো বোমা ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও যানবাহন ভাংচুরকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার সাহায্য করলে ২৫ হাজার টাকা, পেট্রোল বোমা নিৰেপকারীদের হাতে-নাতে গ্রেফতারে সাহায্য করলে ১ লাখ টাকা ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী সংগঠকদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিলে তাকেও ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে৷
র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ আজ শনিবার উত্তরাস্থ র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরে ‘মা কাঁদছে জ্বলছে দেশ ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ ব্যানারে আয়োজিত ‘ল’এন্ড অডর্ার সিচুয়েশন’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন৷র্যাবের পক্ষ থেকে ৮ ক্যাটাগরিতে এসব পুরস্কার ঘোষণা করা হয়৷ বিগত ৫ জানুয়ারির পর থেকে দেশে একটি গোষ্ঠীর প্ররোচনায় গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে নাশকতা চালিয়ে শিশুসহ মানুষকে হত্যা হচ্ছে৷
র্যাবের এডিজি (অপারেশন) কর্নেল জিয়াউল আহসান, লিগ্যাল ও মিডিয়া উইয়ের পরিচালক কমান্ডার মূফতি মাহমুদ খান, র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ, ডিডি মিডিয়া মেজর রম্নম্মন, মেজর মাকসুদ আলম, র্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ র্যাবের উধর্্বতন কর্মকতর্ারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন৷
র্যাব ডিজি বলেন, যারা এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচেছ তারা আইনের চোখে সন্ত্রাসী৷ যারা বোমাবাজী ও সন্ত্রাসীদেরকে লালন-পালন করে তারা খুনি৷ তিনি বলেন, যারা এ কাজে র্যাবকে তথ্য ও ছবি দিয়ে সহায়তা করবে তাদের নাম গোপন রাখা হবে৷ সকলের সার্বিক সহযোগিতা পেলে দেশ থেকে বোমাবাজ ও খুনিদেরকে দমন করতে পারব বলে তিনি উল্লেখ করেন৷
র্যাব ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেন, বিগত ৫ জানুয়ারির পর থেকে দেশে একটি গোষ্ঠীর প্ররোচনায় গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে নাশকতা চালিয়ে শিশুসহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ি কাঠেরপুল এলাকায় একটি গাড়িতে পেট্রোল বোমা মারায় অগি্নদগ্ধ সহ ২৯ জন আহত হয়েছে৷ এদের অথর্ায়ন করছে সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ৷ তিনি বলেন, আমরা চাই না আর কোন মানুষ এসব সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারাক৷সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন, নাশকতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে৷ আমরা অভিযান ও ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রেখেছি৷ ইতোমধ্যে বর্তমান সরকার আর্থিকভাবে পুরস্কার ঘোষণা করেছে৷ তিনি এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসার জন্য দেশের সকল নাগরিকের সহায়তা কামনা করেন৷
তিনি আরো বলেন, অচিরেই সারা দেশব্যাপী র্যাবের পক্ষ থেকে লিফলেট, ব্যানার ও ফেস্টুন বিতরণ করা হবে৷ শিশুসহ কোন মানুষ যেন আর মারা না যায়৷ দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইনে তাদের বিরম্নদ্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচেছ৷র্যাব ডিজি বলেন, যারা গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা করছে তারা খুনি ও সন্ত্রাসী৷ তাদের বিরম্নদ্ধে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে৷
সাংবাদিকরদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে র্যাব ডিজি বলেন, নাশকতা প্রতিরোধের সময় এসেছে৷ সেজন্য আমরা কাজ করে যাচিছ৷ সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা সবার আগে আমাদেরকে দেখতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷র্যাবের ডিজি বলেন, নাগরিকদের সহযোগিতা করার জন্য র্যাব প্রস্তুুত রয়েছে৷ এ কাজে র্যাবের গোয়েন্দা তত্পরতা ও মিডিয়ার কার্যক্রম চলছে৷ আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন রয়েছি৷দেশের বর্তমান পরিস্থিতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়৷
এর আগে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়৷