দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ জানুয়ারি: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন,কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে৷আজকের যুগে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা অত্যনত্ম জরুরী৷ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ শিক্ষকদের সম্মান না দিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রকৃত শিক্ষা আশা করা যায় না৷ তাই শিক্ষকদের ৫০.০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি ও পদমর্যাদাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ-এর নব নির্মিত একাডেমিক কাম ওয়ার্কশপ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বুধবার এ ঘোষণা দেন৷
টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ-এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক(এডিবি)-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: শাহজাহান মিয়া এবং সুইস এজেন্সী ফর ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড কোঅপারেশনের (এসডিসি) ডেপুটি হেড অব কো-অপারেশন সিরোকো মেসেরলি৷ টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে৷
নুরুল ইসলাম নাহিদ কারিগরি শিৰা অধিদপ্তরের অধীনে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিরাজমান সমস্যা উল্লেখ করেন৷ তিনি বলেন, অন্যান্য শিক্ষকদের তুলনায় কারিগরি শিক্ষকদের বেতন, ভাতা, পদমর্যাদা সবই কম৷ তাদের পদমর্যাদার বিষয়ে ইতিমধ্যেই মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে৷ অন্যান্য সমস্যা সমাধানেও আমরা কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছি৷তিনি বলেন, দেশের এক তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত শিৰা পরিবারকে অবহেলা করে শিক্ষার উন্নয়ন সম্ভব নয়৷ শিক্ষকদের জন্য সম্মানজনক সুযোগ সুবিধা দিতে সরকার আগ্রহী৷
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠী আমাদের বোঝা মনে হলেও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে একে বিশাল জনশক্তিতে রূপানত্মর করতে পারি৷ এ লৰ্যকে সামনে রেখেই নতুন প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষা, জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে৷
শিক্ষকদেরকে আদর্শ ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করাটা এখন আর স্বপ্ন নয়৷ এটি এখন অর্জনের দ্বারপ্রানত্মে৷ একটি দক্ষ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য নতুন প্রজন্মকে আধুনিক ও আনত্মর্জাতিক মানের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলুন৷ তারাই বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ আপনাদের সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে৷ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাসত্মবায়িত হবে৷
উল্লেখ্য, এডিবি এবং এসডিসি’র সহায়তায় প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়তলা ভিতের ওপর নবনির্মিত চারতলা ভবনটির আয়তন ২০,৮০০ বর্গফুট৷ এ ভবনে দু’টি সিভিল ও মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ, ৮টি ল্যাব, ৪টি লার্নিং রুম ও একটি হলরুম রয়েছে৷