দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ জানুয়ারি: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ সংস্থাটি বলেছে, সংকট উত্তরণের চাবিকাঠি দুই নেত্রীর হাতেই রয়েছে৷ এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য তাঁদের মধ্যে সমঝোতা হওয়া অত্যন্ত জরুরি৷
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে টিআইবি এ কথা বলেছে৷ বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন,দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সহিংসতা, বল প্রয়োগের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, সাধারণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হরণসহ নানা কারণে যেভাবে দেশে সুশাসন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার ঝুঁকি বাড়ছে, তাতে টিআইবি উদ্বিগ্ন৷ এ পরিস্থিতিতে টিআইবি শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমঝোতার পথ অনুসন্ধানের আহ্বান জানায়৷
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণতন্ত্রের নামে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল শক্তি প্রদর্শন ও বল প্রয়োগের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়ায় শিশু, নারী ও তরুণসহ সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার নিষ্ঠুরভাবে খর্ব হচ্ছে৷ জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে শুরু করে স্বাভাবিক মৃতু্যর অধিকার ভূলুন্ঠিত হচ্ছে৷
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ জবাবদিহি ও আইনের শাসনের মৌলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা ও পেশাদারি ভূলুন্ঠিত হচ্ছে, যা দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসনের সম্ভাবনার জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ৷ ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় দুই নেত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা অর্জন অত্যন্ত জরুরি৷ সংকট থেকে উত্তরণের চাবিকাঠি দুই নেত্রীর হাতেই রয়েছে৷
ক্ষমতা কেন্দ্রিক রাজনৈতিক সহিংসতা ও বলপ্রয়োগের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় যে অমানবিক ও নৃশংস রূপ ধারণ করেছে তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)৷ আর এতে সাধারণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হরণ হচ্ছে এবং দেশে সুশাসন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথে ঝুঁকি বাড়ছে বলেও মন্তব্য টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান৷
এ পরিস্থিতিতে সকল প্রকার বলপ্রয়োগ, সহিংস ও অগণতান্ত্রিক আচরণ পরিহার করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে দুই নেত্রীর সমঝোতার পথ অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি৷
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বর্তমান সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের স্বাথর্রক্ষায় দুই নেত্রীর মধ্যে পারস্পারিক সমঝোতা অর্জন অত্যন্ত জরুরি৷ সঙ্কট থেকে উত্তরণের চাবিকাঠি দুই নেত্রীর হাতেই রয়েছে৷ একই সঙ্গে উভয়পক্ষের নেতৃস্থানীয় অবস্থানে অধিষ্ঠিতজনদের সংহত ও দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য৷ তাদের রাজনীতি যে বাস্তবেই জনগণের স্বার্থে, জনগণের অধিকার খর্ব করার জন্য নয়, জনগণকে জিম্মি করে শক্তি পরীক্ষার জন্য নয়, তার প্রমাণ দেয়ার সময় এখনই৷
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক পক্ষ শক্তি প্রদর্শন ও বল প্রয়োগের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়ায় শিশু, নারী ও তরুণসহ সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার নিষ্ঠুরভাবে খর্ব হচ্ছে৷ জনগণের স্বাভাবিক জীবন যাপন থেকে শুরু করে স্বাভাবিক মৃত্যুর অধিকার ভুলুন্ঠিত হচ্ছে৷
একপক্ষ যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে আর অন্যপক্ষ যে কোনো প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে জনগণ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করছে৷ রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে তারা৷ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ জবাবদিহিতা ও আইনের শাসনের মৌলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব ভুলুন্ঠিত হচ্ছে৷ যা দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসনের সম্ভাবনার জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ৷
ড. জামান বলেন,জনসভা, মিছিল ও মানববন্ধনসহ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সকল নাগরিক ও সংগঠনের গণতান্ত্রিক অধিকার৷ তবে সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে আন্দোলনের নামে একদিকে সহিংস কর্মসূচি এবং অন্যদিকে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের মতো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক আইনের ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার হুমকি যেমন লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থি তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গনে উগ্র অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশের চাবিকাঠি৷
তিনি বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে শুধু পেছনে ঠেলে দিচ্ছে তাই নয়, বরং সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চার অভাবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো আজ অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে৷ সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে রাজনীতিকে এক বিভত্স রূপে তুলে ধরে রাজনীতি বিমূখতার বীজ বপণ করা হচ্ছে৷
রাজনৈতিক অঙ্গনে এ ধরনের কর্মকাণ্ড উগ্র, সহিংস এবং অগণতান্ত্রিক শক্তিকে আরো বিকাশের সুযোগ করে দেবে উল্লেখ করে তিনি দেশের স্বার্থে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশেষ করে বড় দু’টি দলকে সমঝোতা ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান৷