দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ জানুয়ারি: কোনো সংলাপ-সমঝোতা নয়, বিএনপির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা৷ খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সংলাপ নয়, এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ইয়াহিয়া-ভুট্টোর আলোচনার মতো তাদের সঙ্গে আলোচনা সফলও হবে না৷
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন৷ হরতাল-অবরোধসহ সব চলমান নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঠিকানা একাত্তর বাংলাদেশ৷সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক একেএম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সামছুল হক টুকু প্রমুখ৷
অনুষ্ঠানে উপস্থিত খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সংলাপ নয়, এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ইয়াহিয়া-ভুট্টোর আলোচনার মতো তাদের সঙ্গে আলোচনা সফলও হবে না৷হাছান মাহমুদ বলেন, এদের (বিএনপি) সঙ্গে কিসের সংলাপ? বিএনপি-জামায়াতকে শায়েস্তা করা হবে৷ আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করবো, এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন৷ জনগণকেও প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এ কেন্দ্রীয় নেতা৷
সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, এভাবে চলতে থাকলে, খালেদা জিয়াকে দেশের মানুষ ঘেরাও করবে৷ মানুষের ক্রোধের আগুনে জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়ে যাবেন তিনি৷বিশ্বের সব দেশে আইএস ও লাদেনদের বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, আমরাও বাংলাদেশের বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা নেবো৷
এসময় তাত্তি্বক-বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুই দলকে প্যারালাল করার চেষ্টা করেন৷ এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে৷ তাদের স্পষ্ট বলতে চাই, বাংলাদেশের জনগণকে জিম্মি করে রাজনীতির রেওয়াজ চালু হতে দেবো না৷বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পেট্রোলবোমা নেত্রী বলেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ৷
তিনি বলেন, পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ হত্যার রাজনীতি করছে বিএনপি৷ আর এই পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের নির্দেশদাতা হলেন বিএনপি নেত্রী৷ তাই তিনি (খালেদা জিয়া) পেট্রোলবোমা নেত্রী৷
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেত্রী দিনের পর দিন অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে দেশব্যাপী সহিংসতা চালাচ্ছেন৷ দুই বছরের শিশু, অন্তঃসত্ত্বা মা, দিনমজুর এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও জিয়া ও তার দলের সন্ত্রাসীদের পৈশাচিকতা থেকে রেহাই পায়নি৷পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যার ঘটনা সমসাময়িক বিশ্বে কোথাও ঘটেনি, ঘটছেও না৷
খালেদা জিয়া জনগণের ক্রোধের আগুনে পুড়ে ছাই হবেন এমন মন্তব্য করে আ’লীগের এ নেতা বলেন, হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপির সন্ত্রাসীরা প্রায় ৪০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে৷ এভাবে আর কিছুদিন চলতে থাকলে দেখা যাবে বিক্ষুব্ধ জনতা বেগম জিয়াকে ঘেরাও করবেন৷তিনি বলেন, জনগণ আশা করেছিলো খালেদা জিয়া জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবেন৷ কিন্তু অবরোধ প্রত্যাহার না করে আসলে তিনি (খালেদা জিয়া) পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যার ঘোষণা দিয়েছেন৷ মানুষ হত্যার দৃশ্য টিভিতে দেখে বেগম জিয়া পুলকিত হন৷ আগুনে দগ্ধ শিশুর আর্তনাদও বেগম জিয়ার কানে পৌছায় না৷