দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ১৭ জানুয়ারি : আজ (রবিবার) আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত ৫০তম বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্ব৷ শীতের মাঝে মাঘের শুরম্নতে থেমে থেমে কয়েকদফা বৃষ্টি হওয়ায় টঙ্গীর বিশ্ব এজতেমায় আসা মুসলস্নীরা শনিবার ভোগানত্মিতে পড়েছেন৷ শনিবার ভোর ৪টা থেকে প্রায় আধাঘন্টার বৃষ্টিতে বিছানা ও কাপড়-চোপড়ের সঙ্গে বহু মুসলস্নী ভিজে যান৷ তারা সকালে ভেজা কাপড় চোপড় শুকানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু কয়েক ঘন্টা বিরতি দিয়ে আবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শুরম্ন হয় থেমে থেমে কয়েকদফা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি৷ এসময় বৃষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষায় অনেক মুসলস্নী মাথার ওপরে পলিথিন টানিয়ে নীচে জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকেন৷ বৃষ্টির কারনে এজতেমাস্থল কর্দমাক্ত হয়ে যায়৷ এতো কিছুর পরেও এমন বৈরী আবহাওয়াকে ধর্মপ্রাণ মুসলস্নীরা ‘আলস্নাহর রহমত’ বলে মনে করছেন৷ তারা শীত, বৃষ্টি ও কর্দমাক্ত মাটিকে উপেৰা করে মনোনিবেশ করে ঈমান, আখলাক ও দ্বীনের বিভিন্ন বয়ান শুনেন৷ দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিনে শনিবার তুরাগ তীরে সোনাবান বিবির শিল্প শহর টঙ্গীর এজতেমা মাঠে শনিবার লাখ-লাখ মুসলিস্ন উদ্দেশ্যে চলে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে অত্যনত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ বয়ান৷ এজতেমার আয়োজক কমিটির মুরম্নবি্ব মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, অল্প বৃষ্টিতে মুসলিস্নদের বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়নি৷
আজ (রবিবার) সকাল ১০টা থেকে এগারটার মধ্যে আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে এজতেমা কতর্ৃপৰ জানিয়েছেন৷ এর আগে হেদায়েতি বয়ান করা হবে৷ তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরম্নব্বীদের পরামর্শের ভিত্তিতে তাবলিগ জামাতের দিলস্নীর মারকাজের শূরা সদস্য হযরত মাওলানা যোবায়েরম্নল হাসান বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ এ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ মোনাজাতে বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মানুষের সুখ, শানত্মি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হবে৷ আখেরী মোনাজাতে প্রায় ৩০/৩৫ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলিস্ন্ল অংশ নিবেন বলে আয়োজকদের ধারণা৷
আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্থান সংকুলানসহ বিশ্ব এজতেমায় অংশ গ্রহণকারীদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ২০১১ সাল থেকে দুই দফায় বিশ্ব এজতেমার আয়োজন করা হচ্ছে৷ যারা প্রথম পর্বে বিশ্ব এজতেমায় যোগ দেবেন তারা দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে পারবেনা৷ প্রথম পর্বের আখেরী মোনাজাত শেষে মুসলিস্নরা এজতেমা মাঠ ছেড়ে দেয়ার পর ১৬ জানুয়ারি বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরম্ন হয়ে আজ ১৮ জানুয়ারি রবিবার আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ৫০তম এজতেমার সকল পর্ব৷
এজতেমার দ্বিতীয় পর্বে শিল্প নগরী টঙ্গী যেন ধর্মীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে৷ শনিবার সকালেই টঙ্গী শহর এবং এজতেমাস্থল ও এর আশ-পাশ এলাকা কানায় কানায় পুর্ন হয়ে যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে৷ যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ৷ টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব এজতেমায় আগত লাখ লাখ মুসুলস্নীর পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে৷ শনিবারও টঙ্গী অভিমুখী বাস, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে ছিল মানুষের ভিড়৷ রবিবার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যনত্ম মানুষের এ ঢল অব্যাহত থাকবে৷ শেষ দফায় ৩৪ জেলার মুসুলস্নী ৩৯ খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন৷
বিদেশী নিবাসের পূর্বপাশে বিশেষ মোনাজাত মঞ্চ থেকেই রবিবার সকাল শুরম্ন হবে আখেরি মোনাজাত৷ মুসুলস্নীদের ভোগানত্মি কমাতে এ পর্বেরও আখেরি মোনাজাতের সময় এগিয়ে আনা হয়েছে৷ মোনাজাতের আগে অনুষ্ঠিত হবে হেদায়তি বয়ান৷ বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরবি্ব দিলস্নীর হজরত মাওলানা সা’দ আহমেদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করার কথা রয়েছে৷
বিশ্ব এজতেমা আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে মুসলিস্নদের সুবিধার্থে রবিবার ভোররাত থেকে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পুলিশ৷ রবিবার সন্ধ্যা পর্যনত্ম এ বিধিনিষেধ বলবত্ থাকবে৷ এবারের বিশ্ব এজতেমায় উলেস্নখযোগ্য দিক রয়েছে নজীরবিহীন নিরপত্তা ব্যবস্থা৷ প্রায় ১২ হাজার র্যাব ও পোষাকধারী পুলিশের পাশপাশি রয়েছে সাদা পোষাকে প্রায় ৩ হাজার গোয়েন্দা সদস্য৷ আকাশ ও নৌপথে রয়েছে র্যাবের সতর্ক নজরদারী৷
যৌতুক বিহীন বিয়ে : শনিবার বিশ্ব এজতেমার অন্যতম আকর্ষণ ছিল যৌতুক বিহীন বিয়ে৷ সম্পূর্ণ শরীয়ত মেনে তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ি এজতেমার দ্বিতীয় দিন (শনিবার) বাদ আছর এজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশেই বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর ৷ কনের সম্মতিতে বর ও কণে পৰের লোকজনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় ওই বিয়ে৷ শনিবার সকাল থেকেই অভিভাবকরা দম্পতিদের নাম তালিকাভুক্ত করান৷ বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকেই মোনাজাতের মাধ্যমে নব দম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয় এবং মঞ্চের আশে-পাশের মুসুলস্নীদের মাঝে খোরমা-খেজুর ছুঁড়ে দেয়া হয়৷ এজতেমার ২য় দফার ২য় দিন শনিবার আছর নামাজের পর শতাধিক জোড়া বর-কনের বিয়ে হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ব এজতেমার এক জিম্মাদার৷ বাদ আছর ভারতের মাওলানা জোবায়রম্নল হাসান ওই যৌতুকবিহীন বিয়ে পড়ান৷ বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ‘মোহর ফাতেমী’র নিয়মানুযায়ী৷ এ নিয়ম অনুযায়ী মোহরানার পরিমান ধরা হয় দেড়শ’ তোলা রম্নপা বা উহার সমমূল্য অর্থ৷
বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার বাদ আসর শতাধিক জোড়া বর-কনের যৌতুক বিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়৷ ফজরের নামাজের পর থেকে তাদের সর্বশেষ তালিকা প্রস্তুতির কাজ শুরম্ন হয়৷ এজতেমা মাঠের মুরম্নব্বী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সম্পূর্ণ শরীয়ত মেনে তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ি এজতেমার দ্বিতীয় দিন (শনিবার) বাদ আছর ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশেই যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর বসে৷ এবার প্রথম পর্বে ১শ’২১ জোড়া বর কণের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
দ্বিতীয় দিন শনিবার যারা বয়ান করলেন : এজতেমার দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় দিন শনিবার ফজরের নামাজের পর থেকে বয়ান করেছেন ভারতের হযরত মাওলানা শওকত আলী৷ এসময় বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা নুরম্নর রহমান৷ পাশাপাশি ইংরেজী, উর্ধু সহ বিভিন্ন ভাষায় তরজমা করা হয়৷ এছাড়া বাদ জোহর পাকিসত্মানের মাওলানা মিয়া আনোয়ার হোসেন, বাদ আছর ভারতের মাওলানা মোহাম্মদ জোয়াহের হোসেন ও বাদ মাগরিব- ভারতের হযরত মাওলানা আহমদ লাট বয়ান করেছেন বলে জানান বিশ্বইজতেমার মুরম্নব্বী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ গিয়াস উদ্দিন৷
যা বয়ান করলেন : গত দু’দিন ধরে এজতেমা মাঠে সার্বক্ষনিক ইবাদত-বন্দেগীতে নিয়োজিত রয়েছেন প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যনত্ম এজতেমা মাঠে ইমান, আমল, আখলাক ও দ্বীনের পথে মেহনতের ওপর আম বয়ান অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷
শনিবার বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় দিনে দেশ বিদেশী আগত মুরম্নব্বীগণ তাবলীগের ছয় ওছুলের মধ্যে দাওয়াতে দ্বীনের মেহনতের উপর গুরম্নত্বারোপ করে বয়ান করেন৷ বয়ানে তাবলীগ মুরম্নব্বীগণ বলেন, আলস্নাহ তায়ালা আপনাকে আমাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন এবং আলস্ন্লাহ তায়ালা এটা সিদ্ধানত্ম নিয়েছেন, দুনিয়াতে যে একবার আসবে তাকে মৃতু্যবরণ করতে হবে৷ আলস্ন্লাহ পাকের এ সিদ্ধানত্মের কোন পরিবর্তন হবে না৷ দুনিয়া হচ্ছে ধোকার ঘর, এ দুনিয়া হচ্ছে ধোকার জীবন৷ মিছে এই দুনিয়ার আরাম আয়েসের কথা ভুলে গিয়ে আখেরাতের কথা চিনত্মা কর৷ দুনিয়ার জিন্দেগী ৰণস্থায়ী, যতৰণ পর্যনত্ম মানুষের দিল থেকে আসবাবের (সম্পদের) একি্বন বের না হবে ততৰণ পর্যনত্ম তার দিলে কুদরতি একি্বন পয়দা হবে না৷ সকলকে দ্বীনের জন্য মেহনত করতে হবে৷ আলস্নাহর কাছে আমল ছাড়া এ দুনিয়ার জিন্দেগীর কোন মূল্য নেই৷ বয়ানে আরো বলা হয়, দীনের দাওয়াতের মাধ্যমে ঈমান মজবুত হয়৷ ঈমান মজবুত হলে আলস্নাহর সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ আর এ সম্পর্ক গড়ে ওঠলে দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবি হাসিল হয়৷
এজতেমায় মুসলস্নীদের দাবি : শনিবার দুপুরে বিশ্ব এজতেমার ময়দানে আগত মানিকগঞ্জের আব্দুস সালাম, নওগাঁর মালেক, পাবনার আবুল হাসানসহ অনেক মুসলস্নী জানান, বিশ্ব এজতেমায় দেশ বিদেশের মুসলিস্নদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বর্তমান আয়তনে এজতেমার আয়োজন কঠিন হয়ে পড়েছে৷ তাই এর পরিধি আরো বাড়ানো একানত্ম প্রয়োজন৷ পরিধি বাড়ানো সম্ভব না হলে পুরো ময়দান এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলে মুসলস্নীদের ভোগানত্মি স্থায়ীভাবে সমাধান হবে৷ তারা জানান, প্রায় প্রতিবছরই এজতেমা চলাকালে বৃষ্টি হওয়ার কারনে মুসলস্নীদের ভোগানত্মিতে কম বেশী পড়তে হয়৷ ইতোপূর্বে ২০০৭ সালে বৃষ্টির কারনে এজতেমা শুরম্নর দিনই আখেরি মোনাজাত করে ওই বছরের এজতেমা শেষ করতে হয়েছে৷ তাই তারা শীত ও বৃষ্টিরোধের জন্য স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান৷
তাশকিলের কামরায় চিলস্নাভুক্ত মুসুলস্নী : এজতেমার প্যান্ডেলের উত্তর-পশ্চিমে তাশকিলের কামরা স্থাপন করা হয়েছে৷ বিভিন্ন খিত্তা থেকে বিভিন্ন মেয়াদে চিলস্নায় অংশ গ্রহনেচ্ছু মুসুলস্নীদের এ কামরায় আনা হচ্ছে এবং তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে৷ পরে কাকরাইলের মসজিদের তাবলিগি মুরম্নব্বীদের চূড়ানত্ম সিদ্ধানত্ম অনুযায়ি এলাকা ভাগ করে তাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাবলিগি কাজে পাঠনো হবে৷
আখেরি মোনাজাত রবিবার সকালে : বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিন শনিবার ভোর থেকে কয়েকদফা বৃষ্টির কারনে মুসলস্নীদের ভোগানত্মিতে পড়তে হয়েছে৷ ফলে রবিবার পর্যনত্ম এজতেমার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে দাড়িয়েছিল৷ তাই বৈরী আবহাওয়ার কারনে রবিবার পর্যনত্ম এজতেমার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয় নিয়ে শনিবার এজতেমার মুরম্নব্বীগণ বৈঠকে বসে মাশোয়ারা করেন৷ মাশোয়ারা শেষে তারা ভারী বর্ষণ বা প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে রবিবার পর্যনত্ম এজতেমার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধানত্ম নেন বলে গাজীপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন৷
এজতেমার আয়োজক কমিটির মুরম্নবি্ব মোঃ গিয়াসউদ্দিন জানান, বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের সময় এগিয়ে আনা হয়েছে৷ রবিবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত শেষ করার সিদ্ধানত্ম হয়েছে৷ সাধারণত প্রতি বছর বেলা ১২ টা থেকে ১টার মধ্যে যোহর নামাজের আগে এই আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে৷ কিন্তু মুসুলস্নীদের ভোগানত্মি কমাতে পরামর্শ করে সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে মোনাজাত শুরম্নর সিদ্ধানত্ম হয়েছে৷ এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান৷
মোনাজাতে অতিরিক্ত মাইকের ব্যবস্থা : বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরী মোনাজাত প্রচারের জন্য গণ যোগাযোগ অধিদপ্তর ও গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে৷ এর মধ্যে গণ যোগাযোগ অধিদপ্তর এজতেমা ময়দান হতে আব্দুলস্নাহপুর ও বিমানবন্দর রোড পর্যনত্ম এবং গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস এজতেমা ময়দান হতে টঙ্গী স্টেশন রোড ও আশপাশের অলিগলিতে পর্যাপ্ত মাইক সংযোগের ব্যবস্থা করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা তথ্য অফিসার৷
মুসুলস্নীর মৃতু্য : দ্বিতীয় পর্বে শনিবার সকাল পর্যনত্ম ইজতেমা ময়দানে হৃদরোগ ও বার্ধক্যজনিত রোগে আরো ৭ মুসুলস্নীর মৃতু্য হয়েছে৷ এর মধ্যে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যনত্ম ৪ জন মারা যান৷ এদের মধ্যে এজতেমা ময়দানে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মৌলভী বাজার জেলার জুরী থানার ভোগতারা গ্রামের দরবেশ আলীর ছেলে বশির মিয়া (৫৫), সকাল ৮টার দিকে নীলফামারী জেলার পলাশবাড়ি এলাকার মৃত বদর উদ্দিন খানের ছেলে গোলাম আজম খান (৬০) এবং ভোর রাত ৪টার দিকে বার্ধক্য জনিত কারনে বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার টিকাশ্বর এলাকার মতলব আলী হাওলাদারের ছেলে আলী আজম হাওলাদার (৬৪) মারা যান৷ এছাড়াও একই রাতে ময়মনসিংহের আবুল হাশেম নামের অপর এক মুসলস্নী মারা গেছেন৷ এনিয়ে এবারের দ্বিতীয় পর্বের এজতেমায় আগত মোট ৭ মুসুলস্নী মারা যান৷ এর আগে প্রথম পর্বে মোট ১১ মুসলস্নী মারা যান৷
অপরদিকে এজতেমা ময়দানে হৃদরোগে আক্রানত্ম নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল বারেক এবং সুনামগঞ্জ জেলার কাউয়ার বাজার এলাকার হাজী আব্দুল জব্বারের ছেলে হাজী আব্দুর রহমানকে আশংকা জনক অবস্থায় শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ এছাড়াও টঙ্গী হাসপাতালে প্রায় দেড়’শ জনসহ এজতেমাস্থলের বিভিন্ন ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় ৫ হাজার মুসলস্নী চিকিত্সা নিয়েছেন৷ এদের অধিকাংশই শ্বাস কষ্ট, হৃদরোগ ও ডায়েরিয়া জনিত কারণে অসুস্থ্য হন বলে সংশিস্নষ্ট সূত্রে জানা গেছে৷ এ ছাড়াও ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিকেলস, টঙ্গী ঔষধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি, হামদর্দ ওয়াক্ফ সহ প্রায় অর্ধশত ফ্রি চিকিত্সা ক্যাম্পে মুসলিস্নদের চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে৷
সড়ক দূর্ঘটনায় মুসুলস্নী আহত : শনিবার সকালে এজতেমা মাঠ সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী ষ্টেশন রোড এলাকায় সড়ক পার হওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কায় দু’মুসলস্নী আহত হয়েছে৷ গুরম্নতর অবস্থায় তাদের হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা৷ আহতরা হলো, নারায়নগঞ্জের মো. শামসুদ্দিনের ছেলে ফজর আলী শাইখ ও মোসলেম উদ্দিনের ছেলে কামরম্নল ইসলাম৷
জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত :এজতেমাস্থলের আশে-পাশে বিভিন্ন খাবার দোকান ও হোটেলে শুক্রবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যনত্ম জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ভেজাল খাবার পরিবেশন ও বিক্রির দায়ে বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ ও ভোক্তা অধিকার সংরৰন আইনে মোট ১৫টি মামলা এবং মোট ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন৷ এজতেমাস্থলের আশে-পাশে ৫টি করে দু’শিফটে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের মোট ১০ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়৷
ভিআইপিরা মোনাজাতে অংশ নেবেন : বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে মন্ত্রী পরিষদের একাধিক সদস্য, সংসদ সদস্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভাগের কর্মকর্তাগন মোনাজাতে অংশ নেবেন৷
বিশেষ ট্রেন : এবারের বিশ্বএজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরী মোনাজাত উপলৰে বাংলাদেশ রেলওয়ের পৰ থেকে আখাউড়া, কুমিলস্না ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন রম্নটে ২৩টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এজতেমা উপলৰে এসব ট্রেনে দু’টি করে অতিরিক্ত বগি সংযোগ করা হয়েছে৷ এছাড়া আখেরি মোনাজাতের আগে ও পরে সকল ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে৷ টঙ্গী রেলওয়ে জংশন সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় পর্বের ১৬ জানুয়ারি হতে ১৮ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাত পর্যনত্ম টঙ্গী থেকে জামালপুর, আখাউড়া, লাকসাম রম্নটসহ কয়েকটি বিশেষ ট্রেন চলবে৷ রবিবার আখেরি মোনাজাতের দিন টঙ্গী থেকে ঢাকা, লাকসাম, আখাউড়া, ময়মনসিংহ এবং ঈশ্বরদীরম্নটে একাধিক বিশেষ ট্রেন যাতায়ত করবে৷ আখেরি মোনাজাতের পরের দিন টিকেটধারী মুসলিস্নরা যাতে উঠতে পারেন সেজন্য সকল ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেবে৷
পকেটমার-ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার : শুক্রবার রাত ও শনিবার দুপুর পর্যনত্ম এজতেমাস্থলের আশে-পাশে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ও র্যাবের টহল দল কয়েক ছিনতাইকারী ও পকেটমারকে আটক করেছে বলে টঙ্গী থানার ওসি জানিয়েছেন৷
যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের তত্পরতা : এজতেমা সুত্র জানায়, দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে আজ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-কালিগঞ্জ সড়ক, দুপুর পর্যনত্ম যানচলাচল বন্ধ থাকবে৷ এছাড়া যানচলাচল বন্ধের কারনে টঙ্গী ও আশপাশ এলাকায় কল কারখনার মালিক কর্তৃপক্ষ বিশ্ব এজতেমার জন্য ১ দিন কারখানা বন্ধের ঘোষনা দিয়েছে৷ হাজার হাজার শ্রমিকরা যাতে করে আখেরী মোনাজাতে শরীক হতে পারে সে জন্য এ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে৷
বিআরটিসি : বিআরটিসিও বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে অন্য বছরে ন্যায় এ বছরেও বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করেছে৷ রাজধানীর গুলিস্থান, ফুলবাড়িয়া, কমলাপুর, মতিঝিল, ফার্মগেট, গাবতলী, মহাখালী, আজিমপুর থেকে ইজতেমাস্থল পর্যন্ত বিশেষ বাস সার্ভিস চালু থাকবে৷ ২য় পর্বের আখেরী মোনাজাত পর্যনত্ম কাকরাইল মসজিদ সংলগ্ন পয়েন্ট থেকে এজতেমাস্থল পর্যনত্ম বিআরটিসি বাস চলাচল করবে৷ বিমানবন্দর থেকে বিদেশি মুসলি্লদের এজতেমাস্থলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাস থাকবে৷ এ ছাড়া বিআরটিসি এজতেমা সার্ভিসের বাসগুলো আরিচা, পাটুরিয়াঘাট, মাওয়া, মিরপুর, নরসিংদি, নারায়ণগঞ্জ, কুমিলস্না, ভৈরব, কুটি, চৌমহনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, বিরিশিরি, নেত্রকোনা, সোনাপুর, চরজব্বার, লক্ষ্মীপুর, কলমাকান্দা, মদন, মনোহরদী, মিরকাদিম, মোহনগঞ্জ, আখাউড়া, ময়মনসিংহ, সাইদাবাদ, জয়দেবপুর, গাবতলী থেকে মুসলি্লদের আনা-নেওয়া করবে৷ এ ছাড়া কোনো মুসলি্লদল যদি চান বিআরটিসি তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় বাস দিয়ে এজতেমাস্থলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে৷ আখেরি মোনাজাতের পরের দিন অর্থাত্ ১৯ জানুয়ারি পর্যনত্ম মুসলি্লদের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দেওয়ার জন্যও বিআরটিসির বাসগুলো চলাচল করবে৷
মোনাজাতের দিন চলবে শ্যাটল বাস : গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারম্নন অর রশীদ জানান, শনিবার রাত ১২টা থেকে রবিবার আখেরি মোনাজাতের সময় পর্যনত্ম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে কুড়িল বিশ্বরোড, সাভারের বাইপাইল থেকে আব্দুলস্নাহপুর পর্যনত্ম অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ি ছাড়া সাধারন যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে৷ তবে আখেরি মোনাজাতের দিন রবিবার সকাল থেকে গাজীপুরের চান্দনা-চৌরাসত্মা এলাকা থেকে ইজতেমাস্থল পর্যনত্ম মুসুলস্নীদের সুবিধার্থে ৫০টি বিআরটিসি বাস ও ব্যাক্তি মালিকাণাধীণ ৫০টি (এজতেমার স্টিকার লাগানো) শ্যাটল বাস চলাচল করবে৷
নিরাপত্তা : বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে এজতেমা ময়দানসহ আশপাশ এলাকায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে৷ টঙ্গীর শহীদ আহসান উলস্নাহ মাষ্টার ষ্টেডিয়াম, টঙ্গী সরকারী হাসপাতাল মাঠ ও মন্নু টেঙ্টাইল মিলে পুলিশের অস্থায়ী ব্যারাক নিমর্ান করা হয়েছে৷ এজতেমা মাঠে প্রবেশের ১৭টি রাসত্মায় ৫ সত্মরে নিরাপত্তা তলস্ন্লাশী পেরিয়ে মুসলিস্নদের মাঠে প্রবেশ করতে হচ্ছে৷ প্যান্ডেলের ভিতর ও বাইরে মুসলিস্ন্ল বেশে রয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রায় ৩ হাজার সদস্য৷ তারা ৫টি সত্মরে নিরাপত্তা দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা৷ এজতেমা ময়দানের সব প্রবেশপথে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যবেক্ষন টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে৷ ভ্রাম্যমান আদালত সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে৷
গাড়ি পার্কিং: বিশ্বইজতেমায় আগত মুসুল্লীদের যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করেছে ট্রাফিক বিভাগ৷ ঢাকা মহানগর এলাকা- (১) সাধারণ পার্কিং-১: উত্তরার নিকুঞ্জ-১এর আবাসিক এলাকার খালি জায়গা, (২) সাধারণ পার্কিং-২: উত্তরা ৬নংসেক্টর ও র্জাউক কলেজের আশেপাশের খালি জায়গা, (৩) সিলেট বিভাগ- উত্তরা-১২ নং সেক্টর, (৪) বরিশাল বিভাগ- ধৌড় ব্রীজ হতে ২০০মিটার পশ্চিমে রাস্তার বাম পাশ, (৫) ঢাকা বিভাগ পার্কিং- উত্তরা সোনারগাও জনপথ সড়কের পূর্বপাশে, (৬) খুলনা বিভাগ পার্কিং-উত্তরা ১০ ও ১১নং সেক্টারের উভয়পাশে, (৭) রংপুর বিভাগ- প্রত্যাশা হাউজিং, (৮) চট্টগ্রাম বিভাগ-উত্তরা ১০নংসেক্টরেরর গাউসুল আজমরোড ও গরীব নেওয়াজরোড, (৯) রাজশাহী বিভাগ- কামারপাড়া হাউজিং মাঠ/ উত্তরা ১০নংসেক্টরের খালি জায়গা৷ ঢাকা জেলা- আশুলিয়া কলেজ মাঠ ও আশুলিয়া হাইস্কুল মাঠ৷ গাজীপুরজেলা- (১) টঙ্গীর কে-২/নেভি সিগারেট কারখানা সংলগ্নস্থান, টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের পূর্বপাশ, (২) কাদেরিয়া টেঙ্টাইল মিলগেইট সংলগ্ন খালি জায়গা, (৩) কাদেরিয়া টেঙ্টাইল সংলগ্ন রাস্তার উভয় পাশে, (৪)মেঘনা টেঙ্টাইল মিল সংলগ্ন রাস্তার উভয় পাশে, (৫) সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী মাঠ, (৬) জয়দেবপুর-চৌরাস্তা ট্রাক স্ট্যান্ড, (৭) চান্দনা-হাইস্কুল মাঠ ও (৮) ভাওয়াল কলেজ মাঠ৷
যেসব স্থানে গাড়ি পার্কিং নিষেধ : মহাখালি ক্রসিং থেকে টঙ্গী হয়ে জয়দেবপুর চৌরাসত্মা পর্যনত্ম মহাসড়কের দুইপাশ, আব্দুলস্নাহ পুর থেকে বাইপাইল, প্রগতিসরণীস্থ মধ্যবাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রগতিসরণীস্থ সড়কের দুই পাশ৷
যেসব পথে গাড়ি চলবে :শনিবার রাত ১১টার পর থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, আশুলিয়া-বাইপাইল, কামারপাড়া, স্টেশনরোড থেকে মীরের বাজার পর্যন্ত সকাল গাড়ি চলাাল বন্ধ থাকবে৷ বিকল্প পথ হিসেবে ময়মনসিংহ ও সিলেট থেকে যারা ঢাকা যাবে তাদের ভোগড়া বাইবাস থেকে মীরের বাজার হয়ে কাঁচপুর দিয়ে অতিক্রম করতে হবে৷ আবার যারা রাজশাহীসহ উত্তর বঙ্গথেকে ঢাকা যাবে তারা নবীনগর-চন্দ্রা কিংবা আশুলিয়া-বাইপাইলের ধৌড় ব্রীজ হয়ে বেড়ি বাধ দিয়ে অতিক্রিম করতে বলা হয়েছে৷ মোনাজাতের দিন ঢাকা থেকে ইজতেমাস্থলগামী মুসুল্লীদের ট্রঙ্গী ব্রীজ পরিহার করে আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়ক ধরে পায়ে হেটে ইজতেমা ময়দানের পশ্চিমপাশ দিয়ে ভাসমান সেতু দিয়ে ময়দানের ভেতরে প্রবেশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারি পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন৷ এছাড়া এসংক্রানত্ম যাবতীয় তথ্য জানতে মোবাইল নং-০১৭৬৯৬৯০৪২০ এবং গাজীপুর নিজস্ব ফেস বুক ঠিকানা–ঞত্ধভভরপ উরারংরড়হ, এধুরঢ়ঁত্, খোঁজ পাওয়া যাবে৷
এজতেমা আয়োজক কমিটির মুরম্নবাবীরা জানান, মুসুলস্নীদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১১সাল থেকে টঙ্গীতে দু’দফায় বিশ্ব এজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ এজতেমার মুরম্নব্বীদের দেয়া তথ্যমতে, ১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে এজতেমার আয়োজন শুরম্ন করা হয়৷ তারপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে ও ১৯৫৮ সালে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এজতেমা অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমানস্থলে স্থানানত্মর করা হয়েছে৷ পরে সরকারীভাবে তুরাগ তীরের ১৬০একর জমি স্থায়ীভাবে এজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়৷
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. নুরম্নল ইসলাম জানান, বিশ্ব এজতেমা সফলভাবে এগিয়ে চলছে৷ আশা করছি, আলস্নাহ্র রহমতে আখেরি মোনাজাত নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হবে৷ আমরা সরকারি সকল নির্দেশনা পালন করে যাচ্ছি৷ মুসুলস্নীদের চাহিদা মোতাবেক সব রকম ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করেছি৷ এখানে আসা সাধারন মুসলিস্নরা খুবই সহমর্মিতা ও ধৈর্য্যের পরিচয় দেন৷ তাই এজতেমায় সব কিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়৷