দৈনিকবার্তা=ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি: দ্রুত সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের তাগিদ দিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘সংলাপ না হলে দেশ ভয়াবহ সংঘাতের দিকে যাবে৷ তিনি এও বলেন, বিদেশিদের চাপে যদি সংলাপ হয় তা হবে দেশের জন্য লজ্জাজনক৷
শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিত্সাধীন সাবকে পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানকে দেখতে বেরানোর সময় গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন৷রিয়াজ রহমানের মতো কূটনীতিকের ওপর হামলা দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি দোষীদের বিচার দাবি করেন৷অবরোধে তার সমর্থন রয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান৷ তিনি বলেন, সরকার ৫ তারিখে (জানুয়ারি) বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়নি৷ ১২ তারিখে তারা নিজেরা সমাবেশ করে রাজনৈতিকভাবে হেরে গেছে৷
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করার পর তিনি গাড়িতে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় দুবর্ৃত্তরা তাকে গুলি করে৷ এরপর তাকে বহনকারী প্রাইভেটকারটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় দুবর্ৃত্তরা৷ তিনি কোমরে একটি ও উরুতে তিনটি গুলিবিদ্ধ হন৷ ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ তিনি সেখানেই চিকিত্সাধীন রয়েছেন৷ গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতা রিয়াজ রহমানের অবস্থা আপাতত শঙ্কামুক্ত জানিয়ে চিকিত্সকরা বলেছেন, অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে তার ক্ষতের পরিচর্যা চলছে৷
ইউনাইটেড হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অপারেশন বিভাগের পরিচালক দবির উদ্দিন আহমেদ বুধবার দুপুরে বলেন, রিয়াজ রহমানকে লোকাল অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে তার পা ও কোমরের চারটি ক্ষত ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে পরিষ্কার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা আপাতত আশঙ্কামুক্ত বলে জানান তিনি৷
আগের রাতে সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমান৷তার চিকিত্সায় সকালে অর্থোপেডিকস বিভাগের অধ্যাপক আমিনুল সানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন-সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে এম জাফরুল্লাহ সিদ্দিক, নিউরোমেডিসিনের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ডায়াবেটিক বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুল ইসলাম, মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ মো. ইকবাল হোসেন ও অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ৷