0324

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও কবি জসিম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ এতে জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সালমান প্রধান শাওনসহ অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে ৷ শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ পরে আহতদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘসময় ধরে সংঘর্ষ চললেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি৷

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, জিয়া হলের সভাপতি শাওন গ্রুপের ইংরেজি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান জসিম উদ্দিন হলের দোকানে চা খেতে যায়৷ এসময় দোকানে বসা নিয়ে জসিম উদ্দিন হলের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়৷ এক পর্যায়ে জসিম উদ্দিন হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা ইমরানকে মারধর করে৷

খবর পেয়ে জিয়া হল সভাপতি শাওন ঘটনার সত্যতা ও মিমাংসা করতে আসে৷ কিন্তু জসিম উদ্দিন হলের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা শাওনকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে৷ এতে শাওনের মাথা ফেটে যায়৷

পরে জিয়া হল ছাত্রলীগের কর্মীরা জসিম উদ্দিন হলের কর্মীদের ধাওয়া করে৷ এক পর্যায়ে তা দুই হলের ছাত্রলীগের সংঘর্ষে রুপ নেয়৷ জসিম উদ্দিন হলের কর্মীরা জিয়া হলের কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে হলের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়৷ পরবর্তীতে জিয়া হলের কয়েক’শ কর্মী জসিম উদ্দিন হলের কর্মীদের পাল্টা-ধাওয়া দেয়৷ এভাবে দীর্ঘ দেড় ঘন্টা সংঘর্ষ চলে৷ সংঘর্ষে প্রচুর পরিমাণে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়৷

রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এএম আমজাদ আলী শাহবাগ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷ এসময় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত হন৷

সংঘর্ষ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাম্বুলেন্সে প্রায় অর্ধ-শতাধিক কর্মীকে মেডিকেল সেন্টার ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷

জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বি এম এহতেশাম জানান, সংঘর্ষের সূত্রপাত সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না৷ তবে যাচাই করে সঠিক তথ্য নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷এর সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো কর্মীর সম্পৃক্ততা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন৷

ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এএম আমজাদ আলী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত৷ এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে৷ তদন্ত করে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে বলে তিনি জানান৷

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেলেও আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ফোর্স না থাকায় সঠিক সময়ে আসতে পারি নাই৷ তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান৷