দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ১৫ জানুয়ারি: গাজীপুরে বিয়ের প্রসত্মাব প্রত্যাখান করায় বাবা ও তার মেয়ে এসএসসি পরীৰার্থীকে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা৷ নিহতরা হলো, গাজীপুর মহানগরের উত্তর সালনা এলাকার সাইফুল ইসলাম (৪৫) ও তার মেয়ে অাঁখি আক্তার (১৫)৷ নিহত আাঁখি এবছর স্থানীয় পোড়াবাড়ি এলাকাস্থিত ফকির শাহ্ ফসিহ্ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীৰার্থী ছিল৷
এলাকাবাসি ও পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরের উত্তর সালনা এলাকার আলা উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম স্ত্রী সনত্মানদের নিয়ে নিজ বাড়িতেই বসবাস করতেন৷ প্রতিদিনের মতো বুধবার দিবাগত রাতে মেয়েকে নিয়ে সাইফুল ইসলাম নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন৷ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে দুর্বৃত্তরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাইফুল ইসলাম ও তার মেয়ে অাঁখিকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথারি কুপিয়ে পালিয়ে যায়৷ আহতদের গোঙ্গানীর শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে গুরম্নতর আহতাবস্থায় ঘর থেকে সাইফুলকে এবং ঘরের সামনে থেকে অাঁখিকে উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক অাঁখিকে মৃত ঘোষণা করেন৷ আহত সাইফুলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে সেখান থেকে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে সাইফুল মারা যায়৷ এদিকে বাবা-মেয়ের মৃতু্যর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে৷
জয়দেবপুর থানার এস আই নাজমুল হাসান নিহতের স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, সাইফুলের তিন সনত্মানের মধ্যে আঁখি একমাত্র মেয়ে৷ গত কয়েকদিন আগে অাঁখিকে বিয়ের জন্য পাশর্্ববর্তী বাউপাড়া গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে মনির হোসেন প্রসত্মাব দেয়৷ কিন্তু স্কুল পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের এ প্রসত্মাব প্রত্যাখাণ করে তার বাবা সাইফুল৷ এতে ৰুব্ধ হয় মনির হোসেন ও তার লোকজন৷ এর জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে৷ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা কাপড় ও স্ক্রু ড্রাইভারসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে৷