দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি: গোয়েন্দা প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে সকল ষড়যন্ত্র, নাশকতা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ৷বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁয়ে ইসলামি ফাউন্ডেশনে সহিংসতা ও সন্ত্রাস প্রতিরোধক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন৷দেশের আলোম-ওলেমাদের সঙ্গে সহিংসতা ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে ইসলাম: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন৷ইসলামিক ফাউন্ডেশন তাদের সভাকৰে দেশের আলেম-ওলামাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে৷
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বোর্ড অব গর্ভনরস এর গর্ভনর এ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুলস্নাহ৷ সভা শেষে দোয়া করেন জাতীয় মসজিদের খতীব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন৷ এছাড়া এ মতবিনিময় সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত আলেম-ওলামাগণ বক্তৃতা করেন৷তিনি বলেন, আমরা গোয়েন্দা প্রতিবেদন পেয়েছি প্রথমবারের মতো দ্বিতীয়বারও বিএনপি, জামায়াত টঙ্গী তাবলীগ জামাতের দলীয়করণের মাধ্যমে কিছু একটা করতে চাচ্ছে৷ আমরা তা হতে দিবোনা৷
দেশের অবস্থা বর্তমানে ভালো রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রংপুরের বাসের অগি্নকান্ডে শিশুসহ চারজন নিহতের ঘটনা একটি চোরাগুপ্তা ঘটনা ৷ আশা করি দুই একদিনের মধ্যেই সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে ৷ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, একটি গোষ্ঠী বিশ্ব ইজতেমাকে রাজনীতিকীকরণ করতে চাইছে৷ দলীয় রাজনীতি ঢুকিয়ে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে৷
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকায় তাদের সে অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ আগামীতেও বর্তমান সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ধর্মের লেবাসধারী ওই গোষ্ঠীকে সফল হতে দেবে না৷স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে চিহ্নিত গোষ্ঠীটি কিছু করার পরিকল্পনা করেছিল৷ কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকায় তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়৷
তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের তবলীগ জামাত৷ এতেও যেন কোন ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সে জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে সদা সর্তক রাখা হয়েছে৷আসাদুজ্জামান খান বলেন, ইসলাম যখন আলেম-ওলামাদের কাছে থাকে না, তখনই ফেতনা-ফেসাদ বেড়ে যায়৷ এর বড় উদাহরণ পাকিসত্মান ও আফগানিসত্মান৷
তিনি বলেন, ২০ দল প্রচার চালাচেছ দেশে তারাই ইসলামের সেবক৷ কিন্তু ইজতেমার সময় তারাই আবার অবরোধ ও হরতাল দিয়ে মুসলিস্নদের ইজতেমায় আসতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে৷ এতে মুসলিস্নদের বাধ্য হয়ে গাড়ি বদলিয়ে, পায়ে হেঁটে ইজতেমায় আসতে হয়েছে৷ তারপরও এ গোষ্ঠীটি ২০ লক্ষাধিক মানুষের জোয়ার রম্নখতে পারেনি৷ অবরোধের নামে জঙ্গী এ গোষ্ঠী বাসে, সিএনজিতে আগুন দিয়ে এখন মানুষ হত্যা করে চলেছে৷
আলেম-ওলামাদের নিজ হাতে ইসলামের ঝান্ডা তুলে নেয়ার আহবান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী কামাল বলেন, ২০ দলের হাতে ইসলাম নিরাপদ নয়৷ ২০ দলে দেশবাসী যাদের দেখছে তাদের মধ্যে জামায়াত অন্যতম, যে জামায়াত আবার ইসলামের শত্রু৷ এ জোটে দেশবাসী আরো দেখছে, যারা শত শত কোরান শরীফ পুড়িয়েছে, হাজার হাজার গাছ কেটেছে, দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে৷ তাই দেশবাসী ওই জোটের সঙ্গে না থেকে ঘর থেকে বের হয়ে অবরোধ ও হরতালের প্রতিবাদ জানাচ্ছে৷
আলেম-ওলামাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, দেশের সম্পদ নষ্টকারী ও মানুষ হত্যাকারী এ জঙ্গী গোষ্ঠীর বিরম্নদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে৷ আলেম-ওলামাসহ আমাদের সকলকে এখন ঘুরে দাঁড়াতে হবে৷ তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করতে হবে৷ জঙ্গীবাদ বিনাশে সরকার সব সময়ই আলেম-ওলামাদের সঙ্গে আছে বলেও তিনি জানান৷আন্দোলনের নামে বিএনপির এই অবরোধ ও হরতালের সঙ্গে জনগণের কোন সম্পৃক্ততা নেই উলেস্নখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ কারণে বিএনপি এখন চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা ও সম্পদ বিনষ্ট করছে৷