unnamed

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ জানুয়ারি: ১০/০১/২০১৫ তারিখ ১৫.৩০ টায় গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য (পশ্চিম) বিভাগ গুলশান-১, নিকেতন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভূয়া ম্যারেজ মিডিয়া চক্রের ০৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে৷ গ্রেফতারকৃত ম্যারেজ মিডিয়ার প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলো ১৷ মোঃ আরিফুল রহমান ওরফে বাদল ২৷ মোঃ মাসুম বিলস্নাহ ওরফে হাসান ৩৷ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ৪৷ মোঃ রাহাত হোসেন ৫৷ মোঃ হাসানুজ্জামান খান ওরফে সোহাগ ৬৷ মোঃ সালমা আক্তার ও ৭৷ মিতু মিস্ত্রি৷ এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভূয়া ম্যারেজ মিডিয়ার মূলহোতাসহ কয়েকজন পালিয়ে যেতে সৰম হয়৷

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায় যে, তারা দীর্ঘ দিন যাবত্‍ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ম্যারেজ মিডিয়ার ভূয়া অফিস সাজিয়ে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া, লন্ডন, ইংল্যান্ড ও আমেরিকা প্রবাসী ভূয়া সুন্দরী মহিলাদের পাত্রী সাজিয়ে সাধারণ মানুষের নিকট হতে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছে৷

গ্রেফতারকৃত প্রতারক চক্রের মূলহোতা পলাতক আসামী মোঃ মাহফুজ বিগত ৫/৬ বছর যাবত্‍ কিছু সুন্দরী মহিলাদেরকে অস্ট্রেলিয়া, লন্ডন, ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় নাগরিক বলে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় পাত্র-চাই মর্মে চটকদারী বিজ্ঞাপন দেয়৷ উক্ত বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী প্রার্থীরা তাদের সাথে বিজ্ঞাপনে প্রদত্ত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে৷ পরে তাদের চক্রের বিভিন্ন সুন্দরী মহিলাদের ছবি, জাল পার্সপোর্ট ও ভিসার ফটোকপি দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন এর নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়৷

পরবর্তী সময়ে কোন রেস্টুরেন্টে আগ্রহী প্রার্থীদেরকে উক্ত মহিলাদের সাথে দেখা করানোর মাধ্যমে বিশ্বাস স্থাপন করে৷ তারা মোটা অংকের নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে ভূয়া নিকাহ নামার মাধ্যমে বিবাহ করিয়ে টাকা পয়সা ও স্বর্নালংকার নিয়ে আত্মগোপন করে৷ তারপর তারা অন্যত্র অফিস নিয়ে পুনরায় পূর্বের ব্যবসা শুরম্ন করে৷

গ্রেফতারকৃতদের বিরম্নদ্ধে একাধিক ব্যক্তির সাথে প্রতারণা করার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ ইতোমধ্যে তাদের অফিস থেকে প্রতারিতদের নাম-ঠিকানা সম্বলিত নথি জব্দ করা হয়েছে৷ গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরম্নদ্ধে গুলশান থানায় নিয়মিত মামলা রম্নজু করা হয়েছে৷

ডিসি (পশ্চিম) শেখ নাজমুল আলম এর নিদের্শনায়, এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে, সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদ নাসের জনি এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়৷

মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা৷