image_113444_0

দৈনিকবার্তা-ঢাকা ১০ জানুয়ারি: হরতাল-অবরোধ বন্ধে আইনগতব্যবস্থার কথা ভাবছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই৷ শনিবার বিকেলে মতিঝিলে এফবিসিসিআই’র কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশন অব বাংলাদেশচেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ এ কথা জানান৷

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ৷ দেশে বিরাজমান সহিংসতা ও অবরোধের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ দেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে৷

তিনি বলেন, এফবিসিসিআই পরিচালকরা বৈঠকে দেশে চলমান অস্থিরতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে সুযোগ থাকলে আইনের আশ্রয় নেয়ার ব্যাপারে তারা (পরিচালকরা) একমত৷ বিষয়টি খতিয়ে দেয়া হবে৷কাজী আকরাম বলেন, দেশের ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে৷ এখন সহিংসতা বন্ধে আইনের আশ্রয় নেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই৷তিনি জানান, অবরোধে গড়ে দিনে ক্ষতি হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা৷

কাজী আকরাম উদ্দিন বলেন, হরতাল, অবরোধের কারণে তিনটি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এগুলো হলো পরিবহন, উত্‍পাদন ও পর্যটন৷ অবরোধ, হরতালের কারণে পরিবহন খাত অচল হয়ে গেছে৷ দুই লাখের বেশি বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান অচল হয়ে আছে৷ ২০ লাখের বেশি পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন৷ এই খাতে দৈনিক ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে৷

তিনি বলেন, পর্যটন খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ কঙ্বাজারে ২০০ থেকে ৩০০ হোটেলে মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে৷ হোটেলে কোনো লোকজন নেই৷কাজী আকরাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা করতে হবে৷ এতে চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসা ও সমাধানের পথ পাওয়া যাবে৷

এফবিসিসআই পরিচালনা পর্ষদ তাকে হরতাল বন্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুমতি দিয়েছেন বলেও আকরাম উদ্দিন আহমেদ জানান৷তিনি বলেন, অবরোধ দেশের পরিবহন, ব্যবসা, শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ, পর্যটন খাতে প্রভাব ফেলছে৷ এভাবে লাগাতার অবরোধ চলতে থাকলে অর্থনীতির চাকা অচল হয়ে যাবে৷৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করতে না পেরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটনেতা খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দেন৷ শনিবার চলছে অবরোধের পঞ্চম দিন৷