দৈনিকবার্তা-পাইকগাছা (খুলনা),৭ জানুয়ারি: চিংড়ি নীতিমালা প্রণয়ন সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক বলেছেন, চিংড়ি চাষের উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন হলেও উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ চাষীরা হাজার হাজার বিঘা আয়তনের ঘেরে চিংড়ি চাষ করছেন৷ এতে একদিকে উত্পাদন কমপক্ষে অপরদিকে রোগ বালাইয়ের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ ফলে চাষী এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে৷
তিনি চাষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চাষ মৌসুমের মধ্য ভাগে লবণাক্ততা কমে গেলেও জমির মালিকদের ধান চাষ করার সুযোগ দেয়া হয়নি৷ অনেকেই আবার জমির মালিকদের প্রাপ্য হারীর টাকা না দিয়ে হয়রানী করেন৷ সরকারের বাস্তবমুখী পদক্ষেপে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও ভবিষ্যত্ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে আমন মৌসুমে চিংড়ি ঘেরগুলোতে ধান চাষ এবং জমির মালিকদের প্রাপ্য হারীর টাকা পরিশোধ করার আহবান জানান৷ বিশ্ব বাজারে চিংড়ির মান বৃদ্ধি ও উত্পাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করা বন্ধ করে চাষীদের অনুকুলে সরকার যে নীতিমালা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সে অনুযায়ী চাষাবাদ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান৷ নীতিমালা বাস্তবায়নে সকলের সমন্বয়ে একটি সেল গঠণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করেন৷ তিনি মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও মত্স্য বিভাগ আয়োজিত চিংড়ি চাষী ও ঘের মালিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন৷
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউট লোনাপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শ্যামলেন্দু বিকাশ সাহা, জেলা মত্স্য কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার সরকার, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, রংপুর বিভাগে দায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসরাইল হোসেন, ওসি সিকদার আককাছ আলী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাত্ হোসেন বাচ্চু, বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব ফসিয়ার রহমান, উপজেলা সিনিয়র মত্স্য কর্মকর্তা এস,এম রাসেলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, রুহুল আমিন বিশ্বাস, মুনছুর আলী গাজী, কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু, কৃষি অফিসার বিভাস চন্দ্র সাহা, চিংড়ি চাষী নির্মল মজুমদার, আবুল বাশার বাবুল সরদার, ইমান আলী মাস্টার, জালাল উদ্দীন, এম.এম. আজিজুল হাকীম, বারিক গাজী, দীজেন্দ্রনাথ মন্ডল ও তুষার কান্তি বিশ্বাস৷