দৈনিকবার্তা-ফেনী,৪জানুয়ারি : ফেনীর সোনাগাজীতে গত শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় স্বতন্ত্র সাংসদ রহিম উল্যার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অনত্মত ২০ আহত হয়েছে৷ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩ জনকে আটক এবং সাংসদ রহিম উল্যার মালিকীয় বিপনী বিতানের ছাদ থেকে একটি শার্টারগান, গুলিসহ দুটি ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে পুলিশ৷পুলিশ ও দলীয় সুত্র জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সোনাগাজী উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টে স্থানীয় সাংসদ রহিম উল্যার সমর্থকদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রক্তৰয়ী সংঘর্ষের ঘটেনা ঘটেছে৷ এসময় আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছাড়াও ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে গোটা এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে৷ এ সময় অনত্মত গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছে৷ সোনাগাজী থানা পুলিশ দ্রম্নত ঘটনাস্থলে পেঁৗছে কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও কাঁদানেগ্যাস শেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সৰম হয়৷ পরে পুলিশ রহিম উল্যাহ কমপেস্নঙ্রে ছাদ থেকে একটি শার্টারগান উদ্ধার এবং সংঘর্ষের জড়িত সন্দেহে ১৩ জনকে আটক করেছে৷ আটককৃতরা সবাই সাংসদ রহিম উল্যার সমর্থক বলে জানা গেছে৷ আহতদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রম্নহুল আমিন, পৌর আ.লীগ সভাপতি সেলিম পাটোয়ারী, ইউপি চেয়ারম্যান জহিরম্নল আলম, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন অপু, ছাত্রলীগের সাখাওয়াত হোসেন মনি, যুবলীগের জুলহাস, ইব্রহিম, আকবর, রিপন, সজিব ও অনিকের নাম জানা গেছে৷ আহতদেরকে সোনাগাজী, ফেনীসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে৷ যুবলীগ কর্মী সজিব ও অনিককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ আটককৃতরা হচ্ছেন- সামছুল হক (৩২), আলম (২৫), আলা উদ্দিন (২৪), ওমর ফারম্নক (৩০), আবদুর রহিম খোকন (৪৫), আমির হোসেন আরিফ (৩৮), সুজন (২২), সবুজ (৩০), নুর ইসলাম সেলিম (২১), নিজাম উদ্দিন (৩৭), আবদুল হালিম সোহেল (৩৫), দীন মোহাম্মদ (৩৫)৷
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে তিনটায় সাংসদ সমর্থকরা উপজেলার জিরো পয়েন্টে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়কে লৰ্য করে শর্টগান থেকে গুলি করে৷ এতে তাদের অনত্মত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন৷সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুল মোসত্মফা রাতে দুই পৰের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জেনেছেন৷ তিনি জানান, এ ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷ একটি শার্টারগান উদ্ধার করা হলেও সেটি সাংসদের লাইসেন্সকৃত৷ প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি সোনাগাজী উপজেলার সদরের জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় সাংসদ একই স্থানে সমাবেশ আহ্বান করে৷ এ নিয়ে গত শনিবার থেকে দুই পৰের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়৷ শনিবার সন্ধ্যায় সাংসদ রহিম উল্যাহ তার সমর্থকদের নিয়ে জিরো পয়েন্টে যায়৷ এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এগিয়ে যায়৷ এক পর্যায়ে উভয় পৰ মুখোমুখি অবস্থানে গিয়ে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন৷ এ সময় সোনাগাজী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছে দুই পৰকে দুই দিকে সরিয়ে দেয়৷ কিন্তু দুই পৰই পাশাপাশি অনড় থাকে৷গত কিছুদিন থেকে ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভঁূঞা) আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ রহিম উল্যার সাথে স্থানীয় বিভিন্ন ইসু্যতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরোধ চলে আসছিল৷ গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ফেনী সার্কিট হাউজে সাংসদ রহিম উল্যাকে যুবলীগ নেতাকর্মীরা শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করে৷ ওই দিন বিকেলে দাগনভঁূঞায় সাংসদের সৌজন্যে নির্মিত তৌরণে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরনে সাংসদের তিনটি কর্মসূচী পন্ড হয়ে যায়৷ ২১ নভেম্বর সাংসদের বাড়ীর পাশে আওয়ামী লীগ শোডাউন করে৷