দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৪ জানুয়ারি: সোমবার রাজধানীতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করবে না বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ৷ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক৷ রোববার দুপুরে দলের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি৷এর আগে দলের সহযোগী সংগঠন ও ঢাকা মহানগরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় নেতারা৷প্রায় ঘন্টাখানেক বৈঠক শেষে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নানক৷
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন না করলেও মহানগরের বিভিন্ন স্থানে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থানে থাকবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা৷এর আগে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞার পরও রাজধানীতে নিজেদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনের অনুমতির জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে আওয়ামী লীগ বলে জানান দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ৷
হানিফ বলেন,জানতে পরেছি প্রশাসন থেকে ৫ জানুয়ারি সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ আমরা এখনো আশা করছি প্রশাসন হয়তো সভা-সমাবেশ করার আনুমতি দেবে৷ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই যতটুকু করণীয় সেটা করবো৷তিনি আরো বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে, প্রায় একমাস আগে আমরা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম৷ একটি রাজনৈতিক দলের পূর্ব-নির্ধারিত কর্মসূচিকে ভণ্ডুল করার জন্যই বিএনপি-জামাত এ কর্মসূচি দিয়েছে৷
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এ বলেন, গণতন্ত্রের বিজয় দিবসের কর্মসূচি রুখতে বিএনপি ইচ্ছে করেই এদিন তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করে৷
ডিএমপি’র নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আওয়ামী লীগ সভা-সমাবেশ করবে না৷ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সোমবার আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন৷রোববার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা’র ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এ কথা বলেন৷
প্রসঙ্গত, রোববার বিকেল ৫টা থেকে ঢাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশ (ডিএমপি)৷দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যনত্ম এ সিদ্ধানত্ম বহাল থাকবে৷আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তবে আশা করি আওয়ামী লীগ আগামীকাল সভা-সমাবেশ করার সুযোগ পাবে৷ তবে শেষ পর্যনত্ম অনুমতি না পেলে নেতাকর্মীরা যে যার অবস্থানে সর্তক থাকবেন৷
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আমরা এক মাস আগে থেকে ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালনের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছি৷ এ জন্য আমরা সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি৷ কিন্তু বিএনপি মাত্র কয়েকদিন আগে কর্মসূচি ঘোষণা করে যে পরিবেশ তৈরি করেছে- তা অত্যনত্ম দুর্ভাগ্যজনক৷ এটা তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহি:প্রকাশ৷আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারাই গণতন্ত্র হত্যা করেছে৷ আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি৷ আর গণতন্ত্র হত্যার দায়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে৷ জনগণের কাছে তার কৈফিয়ত দিতে হবে৷ আগামীকাল ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কর্মীরা মাঠে থাকবেন বলেও জানান হানিফ৷বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে কী না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কে অবরুদ্ধ? এটুকু জানি, তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷