দৈনিকবার্তা–ঢাকা,৩১ডিসেম্বর : বৃহস্পতিবার পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ১১২ তম জন্মবার্ষিকী৷ বাংলার পল্লী অঞ্চলের মানুষের জীবন,সংস্কৃতি,মানুষের মুক্তির সংগ্রামসহ নানা বিষয়ে লিখে এই কবি সৃজনশীলতার পরিচয় দেয়ার ফলশ্রুতিতে পল্লী কবির উপাধি লাভ করেন৷কবি জসীম উদ্দীন ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য চচর্া করেন৷ কবির অসংখ্য বই বাংলাসাহিত্যে অমর সৃষ্টি হিসেবে রয়েছে৷ তিনি ১০ হাজার লোক সংগীত সংগ্রহ করেন৷ এরমধ্যে অনেকগুলো জারি গান ও মুর্শিদী গানের সাথে সমন্বয় করেন৷
কবি কলেজের ছাত্রবস্থায় লেখেন বিখ্যাত কবিতা কবর৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন এ কবিতাটি বাংলা পাঠ্যবইয়ে স্থান পায়৷ এই কবিতাসহ কবির শত শত কবিতা পাঠক সমাদৃত হয়৷ তাঁর নকশী কাথাঁর মাঠ কাব্যনাট্যটি এ দেশের নাটকের জগতে বহুল জনপ্রিয় নাটক৷ এ ছাড়া ‘ সুজন বাধিয়ার ঘাট ‘ কবিতাটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়৷জসিমউদ্দীন ১৯০৩ সালে ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন৷ তার বাবা আনসারম্নদ্দীন মোলস্না ছিলেন একজন স্কুল শিৰক৷ মা আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট৷ ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার বিদ্যালয়ে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন৷
১৯২১ সালে ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাশ করেন৷ ১৯২৪ সালে রাজেন্দ্র কলেজ থেকে আই এ পাশ করেন৷কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৯ সালে বাংলায় ডিগ্রী এবং ১৯৩১ সালে এম এ পাশ করেন ৷ পরে ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যনত্ম তিনি দীনেশ চন্দ্র সেনের সঙ্গে লোক সাহিত্য সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন৷
