দৈনিকবার্তা–গৌরনদী (বরিশাল),৩১ ডিসেম্বর : গুজ (সমঝোতা) কমিটির সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের দুটি ব্রিজের কাজের টেন্ডার দাখিলকে কেন্দ্র করে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদ চত্বরে গতকাল বুধবার দুপুরে আ’লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন৷
উপজেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অথর্ায়ানে মাহিলাড়ার নবনির্মিত ইউপি ভবন সংলগ্ন খালের ওপর ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০৫ টাকা ও উত্তর চাঁদশী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য গোপাল চন্দ্র দে’র বাড়ি সংলগ্ন খালের ওপর ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৭৯ টাকা ব্যয়ে দুটি ব্রিজ নির্মানের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়৷ মঙ্গলবার ছিলো দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন৷ নাম প্রকাশ না করার শর্তে আ’লীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত দুটি কাজ ভাগবাটোয়ারা করার (গুজ) জন্য উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. হারিছুর রহমান তার মনোনীত লোকজন দিয়ে সিডিউল জমা দেয়ায়৷ সূত্রে মতে, ওই গুজ কমিটির সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে মঙ্গলবার বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মের্সাস নাসির এন্টারপ্রাইজের পক্ষে দুটি সিডিউল জমা দেয়া হয়৷ উপজেলা যুবলীগ নেতা ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু জানান, নাসির এন্টারপ্রাইজের সিডিউল জমা দেয়ার জন্য তাকে দায়ি করে পৌর মেয়রের সমর্থকেরা বুধবার দুপুরে তাকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করে৷ একপর্যায়ে তিনি (পিকলু) ও উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে পরেন৷ খবর পেয়ে থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন৷
গুজ কমিটির অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. হারিছুর রহমান বলেন, টেন্ডার সম্পর্কিত কোন বিষয়ে আমি যুক্ত নই৷ অভিযোগোর কোন সত্যতা নেই৷’