stock_image.hartal_jamatfront-single-post

দৈনিকবার্তা–ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির আদেশের প্রতিবাদে বুধবার ও পরশু বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছ জামায়াতে ইসলামী৷ মঙ্গলবার দুপুরে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন৷মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল-১ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন৷ মুক্তিযুদ্ধকালে আজহারুল ছিলেন আলবদর বাহিনীর রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার৷

বছরের শেষদিন বুধবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এবং নতুন বছরের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার একই সময় পর্যন্ত তাদের এই হরতাল চলবে৷মঙ্গলবার ট্রাইবু্যনালে আজহারের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ে ফাঁসির আদেশ আসার পর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে এই হরতালের ঘোষণা দেন৷

তিনি বলেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম সরকারের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের শিকার৷আদালত সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায়, সাজানো সাক্ষীর ভিত্তিতে আজ তার বিরুদ্ধে মৃতু্যদণ্ডের যে রায় ঘোষণা করেছেন তা একটি ন্যায়ভ্রষ্ট রায়৷ এ রায়ে জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন৷

একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলটি এই রায়ের পরও যুদ্ধাপারাধের বিচারকে প্রহসন আখ্যায়িত করেছে৷মকবুল আহমাদ বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিচারের নামে যে প্রহসনের আয়োজন করেছে, দেশে-বিদেশে তার কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই৷সরকারের নিয়ন্ত্রণে ট্রাইবু্যনালের বিচার কাজ পরিচালিত হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন৷

প্রসিকিউশনের আনা ছয় অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইবু্যনালে আজহারের সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দিয়েছে৷ এর মধ্যে গণহত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে৷১৫৮ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়ার আগে ট্রাইবু্যনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, আমরা রায় হওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখি৷ বিবৃতি দিয়ে বা সহিংস হয়ে রায় পরিবর্তন করা যায় না৷ আইনের ভেতরে থেকে আইনের মাধ্যমে চেষ্টা করতে হয়৷

বিচারক বলেন, দেশের ও বিদেশের কয়েকটি মিডিয়া বলছে, এখানে ধর্মীয়ে নেতাদের রায় দেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু আমরা একাত্তরের অপরাধীদের বিচার করছি৷ তিনি কোন পর্যায়ের ইসলামিক বা ধর্মীয় নেতা সেটা আমাদের বিবেচ্য নয়৷আসামির আজকের অবস্থান আদালতের বিচারে দেখা হয় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷

আদালতের এই পর্যাবেক্ষণের পরও রায়ের ঘন্টাখানেকের মধ্যে জামায়াতের হরতালের ঘোষণা আসে৷এর আগে এ দলটির সাত শীর্ষ নেতার রায়ের পর প্রতিবারই হরতাল ডাকা হয়েছে, সারা দেশে চালানো হয়েছে ব্যাপক সহিংসতা৷