atm+AZHARUL

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর: জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণা হবে মঙ্গলবার৷একাত্তরের বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের বিরুদ্ধে৷

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল-১ সোমবার রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন৷ বিচারক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক৷যুদ্ধাপরাধের ছয় ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছর ১২ নভেম্বর আজহারের বিচার শুরু করে ট্রাইবু্যনাল৷

দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়৷ওইদিন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম প্রসিকিউশনের পক্ষে ট্রাইবু্যনালে সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন৷ তার আগে ১৪ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন আজহারের আইনজীবী আব্দুস সুবহান তরফদার ও শিশির মোহাম্মদ মুনির৷

ট্রাইবু্যনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ ঘোষণা করার পরে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম সাংবাদিকদের বলেন, এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি বলে মনে করি৷ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে ঊধর্্বতন কর্তৃপক্ষের দায়ও সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে৷তার অপরাধের যা মাত্রা, তাতে সর্বোচ্চ শাস্তিই উপযুক্ত৷ ট্রাইবু্যনালের কাছে আমরা সর্বোচ্চ সাজাই চেয়েছি৷

যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন প্রসিকিউশন৷ আসামিপক্ষ এই মামলা ভুল প্রমাণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন৷ আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতু্যদণ্ডের আবেদন জানাচ্ছি৷অন্যদিকে এটিএম আজহারুল ইসলামের আইনজীবী আব্দুস সুবহান তরফদার দাবি করেন, প্রসিকিউশন মামলা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন৷ আসামি তাই সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবেন৷

রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে ১ হাজার ২২৫ ব্যক্তিকে হত্যা, চারজনকে খুন, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক ও নির্যাতন এবং শতশত বাড়িঘরে অগি্নসংযোগ ও লুন্ঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের বিরুদ্ধে৷

অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, আজহার তখন রংপুরের কারমাইকেল কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র এবং জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের রংপুর শাখার সভাপতি৷ জেলার আলবদর বাহিনীরও নেতৃত্বে ছিলেন তিনি৷

এছাড়া আজহার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র ও তা বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে অপরাধ সংঘটন করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে৷
২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল এটিএম আজহারের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু হয়৷ ওইবছর ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷তদন্ত শেষে প্রসিকিউটর এ কে এম সাইফুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম মুক্তা গতবছর ১৮ জুলাই আজহারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন৷ এরপর নভেম্বরে অভিযোগ গঠন করে ২৬ ডিসেম্বর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ৷

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এম ইদ্রিস আলীসহ প্রসিকিউশনের পক্ষের মোট ১৯ জন সাক্ষ্য দেন৷ তবে সপ্তম সাক্ষী আমিনুল ইসলামকে বৈরি ঘোষণা করা হয়৷এছাড়া আজহারের যুদ্ধাপরাধের একজন ভিকটিম ১৪ নম্বর সাক্ষী হিসাবে ক্যামেরা ট্রায়ালে জবানবন্দি দেন৷চলতি বছর ৩ ও ৪ অগাস্ট আজহারের পক্ষে একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন আনোয়ারুল হক৷

গত ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইবু্যনাল-১৷মামলার ধারাবাহিক কার্যক্রম: গত ২৭ আগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ কার্যদিবসে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আজহারের আইনজীবী আব্দুস সুবহান তরফদার ও শিশির মোহাম্মদ মুনির৷ অন্যদিকে গত ১৮ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ও বৃহস্পতিবার ৭ কার্যদিবসে আজহারের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল৷

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়ে গত ৬ জুলাই পর্যন্ত আজহারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এম ইদ্রিস আলীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১৯ জন সাক্ষী৷ তাদের মধ্যে সপ্তম সাক্ষী আমিনুল ইসলামকে বৈরি ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ৷ বাকি ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ঘটনার ১৪ সাক্ষী হলেন ক্যামেরা ট্রায়ালে সাক্ষ্য দেওয়া একজন ভিকটিম, মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তফা, শহীদপুত্র মোখলেসার রহমান সরকার ওরফে মোখলেস আলী, মো. মেছের উদ্দিন, আব্দুর রহমান, মকবুল হোসেন, মো. মুজিবর রহমান মাস্টার, শোভা কর, রতন চন্দ্র দাস, সাখাওয়াত হোসেন রাঙ্গা, রফিকুল হাসান নান্নু, রথিশ চন্দ্র ভৌমিক, এওয়াইএম মোয়াজ্জেম আলী এবং তপন কুমার অধিকারী৷

আর জব্দ তালিকার তিন সাক্ষী হলেন তদন্তকারী কর্মকর্তার সহকারী ও ট্রাইবু্যনালের তদন্ত সংস্থার জুনিয়র সদস্য সজল মাহমুদ, আকরাম হোসেন এবং বাংলা একাডেমির গ্রন্থাগারিক এজাব উদ্দিন মিয়া৷
অন্যদিকে গত ৩ ও ৪ আগস্ট আজহারের পক্ষে একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন আনোয়ারুল হক৷গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আজহারের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম৷এর আগে ১২ নভেম্বর এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ (চার্জ)গঠন করেন ট্রাইবু্যনাল৷

এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণ, নির্যাতন, আটক, অপহরণ, গুরুতর জখম ও অগি্নসংযোগের ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এছাড়া সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটিতেও(উধর্্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি৷

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর অঞ্চলে ১২২৫ ব্যক্তিকে গণহত্যা, ৪ জনকে হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক ও ১৩ জনকে নির্যাতন এবং শত শত বাড়িঘরে অগি্নসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জামায়াত নেতা এটিএম আজহার জড়িত ছিলেন বলে এসব অভিযোগে বলা হয়৷গত বছরের ২৯ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর একেএম সাইফুলইসলাম৷ অন্যদিকে ২৪ সেপ্টেম্বর ও ১০ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের বিপক্ষে শুনানি করেন আজহারের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মুনির ও ইমরান এ সিদ্দিকী৷

২৫ জুলাই এটিএম আজহারুলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইবু্যনাল৷ ১৮ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগটি দাখিল করেন প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর নুরজাহান বেগম মুক্তা৷ ৪টি ভলিউমে ৩শ’ পৃষ্ঠায় দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগে আজহারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে ৯ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়৷

এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা এস এম ইদ্রিস আলী ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু করে গত বছরের ৪ জুলাই পর্যন্ত মোট ১ বছর ৩ মাস ১১ দিনে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন৷ মানবতাবিরোধী ৯ ধরনের অপরাধে তদন্ত চূড়ান্ত করে ৯ জুলাই প্রসিকিউশনের কাছে তদন্ত রিপোর্টটি দাখিল করেন তদন্ত সংস্থা৷ এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন৷

তদন্তের উদ্দেশ্যে গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি আজহারকে সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সানাউল হকসহ অন্যান্য তদন্ত কর্মকর্তারা৷মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইবু্যনাল-১ এর আদেশে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারের ঢাকার মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় এটিএম আজহারুল ইসলামকে৷

আজহারের বিরুদ্ধে যতো অভিযোগ: আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবু্যনালস) আইন’১৯৭৩ এর ৩(২)/এ, ৩(২)/সি, ৩(২)/ডি, ৩(২)/জি ও ৩(২)/এইচ এবং ৪/১ ও ৪/২ ধারা (সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি) মোতাবেক ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে আজহারের বিরুদ্ধে৷ অপরাধ সংঘটনের সময়সীমা ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত৷

অভিযোগে বলা হয়েছে, রংপুরের কারমাইকেল কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে আজহার জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের রংপুর শাখার সভাপতি ও ওই জেলার আলবদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন৷ রংপুর ক্যান্টনমেন্টে যাতায়াতের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন৷ আসামি আজহার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজন, মুক্তিকামী বাঙালি এবং হিন্দু সমপ্রদায়ের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে দিতেন এবং তাদের হত্যা, গণহত্যা, আটক ও নির্যাতনে পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র করে তা বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকতেন৷

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র ও তা বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে এসব অপরাধ সংঘটন করেন এটিএম আজহার৷ মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদরের নেতৃত্বে থাকায় তার বিরুদ্ধে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (উধর্্বতন নেতৃত্বের দায়) আনা হয়েছে৷

প্রথম অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ থেকে ২৭ মার্চের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাসানী (ন্যাপ) নেতা ও রংপুর শহরের বিশিষ্ট আয়কর আইনজীবী এ ওয়াই মাহফুজ আলীসহ ১১ জনকে অপহরণ, আটক শারিরীক নির্যাতন করা হয়৷ এরপর তাদের ৩ এপ্রিল রংপুর শহরের দখিগঞ্জ শ্মশানে নিয়ে ব্রাশফায়ার করে গণহত্যা চালানো হয়৷দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, আসামি একাত্তরের ১৬ এপ্রিল তার নিজ এলাকা রংপুরের বদরগঞ্জ থানার ধাপপাড়ায় ১৫ জন নিরীহ, নিরস্ত্র বাঙালিকে গুলি করে হত্যা, গণহত্যা, লুন্ঠন ও অগি্নসংযোগ করেন৷

তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, এ আসামি একই বছরের ১৭ এপ্রিল নিজ এলাকা রংপুরের বদরগঞ্জের ঝাড়ুয়ারবিল এলাকায় এক হাজার ২০০ বেশি নিরীহ লোক ধরে নিয়ে হত্যা, গণহত্যা, লুন্ঠন ও অগি্নসংযোগ করেন৷চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়, ১৭ এপ্রিল কারমাইকেল কলেজের চারজন অধ্যাপক ও একজন অধ্যাপক পত্মীকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে অপহরণ করে দমদম ব্রিজের কাছে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেন৷

পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়, ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রংপুর শহর ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মহিলাদের ধরে এনে টাউন হলে আটকে রেখে ধর্ষণসহ শারীরীক নির্যাতন চালান৷ একই সঙ্গে মহিলাসহ নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালিদের অপহরণ, আটক, নির্যাতন, গুরুতর জখম, হত্যা ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এ আসামি৷

ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রংপুর শহরের গুপ্তপাড়ায় একজনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়৷ একই বছরের ১ ডিসেম্বর রংপুর শহরের বেতপট্টি থেকে এজনকে অপহরণ করে রংপুর কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসে নিয়ে আটক রেখে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন ও গুরুতর জখম করেন৷