3il46x5m.thumbnail

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ ডিসেম্বর: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তথ্য গোপন ও বিকৃিত করার চিরাচরিত ধারা ভাঙ্গার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন৷তিনি বলেন, বিদেশি ও স্বৈরশাসকরা তথ্য গোপনের যে দুস্কর্ম যুগ-যুগ ধরে গড়ে তুলেছে, তা ভাঙতেই তথ্য অধিকার আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে৷ এর মধ্যদিয়েই স্বচছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি সন্ত্রাস ও দুনর্ীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে৷

হাসানুল হক ইনু রোববার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘তথ্য অধিকার আইন : বাংলাদেশের সুশীল সমাজ সংক্রানত্ম সংগঠনসমূহের অনুধাবন ও চর্চা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন৷বাংলাদেশ শ্রমকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ক্যাপাসিটি বিল্ডিং সার্ভিস গ্রুপ (সিবিএসজি) এ কর্মশালার আয়োজন করে৷ঔপনিবেশিক ও পাকিসত্মানি শাসকদের তথ্য গোপন ও বিকৃতির অপচেষ্টার কথা উলেস্নখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের সামরিক শাসকরা তাদের স্বার্থেই সেক্রেসী এ্যাক্টে’র নামে তথ্য গোপনে অতীতের ধার অব্যাহত রেখেছিল৷

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তথ্য ধামাচাপা দেয়ার দেয়াল ভেঙে দিতে তথ্য অধিকার (আরটিআই) আইন প্রণয়ন করেছে৷ এ আইনের ব্যাপক প্রয়োগ ঘটাতে হবে৷ তৃণমূল পর্যায়েও এ আইন বাসত্মবায়নে সংশিস্নষ্ট সকলকে উত্‍সাহ যোগাতে হবে৷হাসানুল হক ইনু বলেন, গোষ্ঠী ও ব্যক্তি শাসনের পরিবর্তে আইনের শাসন ব্যবস্থা কায়েমের অন্যতম পন্থা হচ্ছে গণতন্ত্র৷ এজন্যই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার বিষয়ে সকলকে আরো যত্নবান ও মনোযোগী হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও তিনি গুরম্নত্ব প্রদান করেন৷

সিবিএসজি’র মহাসচিব জিএম কামরুল আনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে সিবিএসজি’র প্রধান নির্বাহী ওবায়দুর রহমান এবং স্টাডি টিম লিডার জয়নত্ম রায় বক্তৃতা করেন৷তথ্যমন্ত্রী কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের তথ্য অধিকার আইন জেনে তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান৷

বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ সঠিক মজুরি ও ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার পাচ্ছে কিনা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি বরাদ্দের বন্টন এবং খাস জমি বিতরণ আইনসিদ্ধ হচেছ কিনা তা জানার জন্যই তথ্য অধিকার আইনের যথাযথ প্রয়োগের ব্যাপারে তিনি জনগণসহ এনজিও ও গণমাধ্যম কমর্ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান৷দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বিভিন্ন সেশনে অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, বাংলাদেশ শ্রমকল্যাণ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আশরাফ উদ্দীন মুকুট এবং অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন৷