দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৮ ডিসেম্বর: হরতালের নামে কোনো সন্ত্রাস করলে বিএনপির সব নেতাকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলাম৷ রোববার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন৷ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ২৯ ডিসেম্বর সোমবার হরতাল আহ্বান করায় এ সভার আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ৷
কামরুল বলেন,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ আরো দু-একজন গ্রেফতার হবে৷ সোমবার হরতালের নামে কোনো সন্ত্রাস করলে বিএনপি সব নেতাকেই গয়েশ্বর ও আলালের পরিণতি হবে৷এসময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, হরতাল দিয়ে তারা (বিএনপি) আবারো নৈরাজ্য করতে চায়৷ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব আছে, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার৷ আমাদের মাঠে থাকতে হবে এবং তারা (বিএনপি) মাঠে নামলে ব্যবস্থা নিতে হবে৷ কী ব্যবস্থা নেবেন, এটা আপনারা বুঝে নিয়েন৷ জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট৷বিএনপি নেতারা যে ভাষায় কথা বলবে, সে ভাষাই জবাব দেয়া হবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী৷
রাজনীতিতে হরতালকে ভোতা হাতিয়ার বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম৷ খালেদা-ফখরুল-তারেকের কথায় একই সুর দেখতে পাচ্ছেন তিনি৷ ছাত্রলীগ সঠিক পথে রয়েছে বলেও মত তার৷ আর আর বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে যেকোনো নেতার পরিণতি হবে গয়েশ্বর-আলালের এটাই তার ঘোষণা৷তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি সন্ত্রাস করতে চাইলে ভয়াবহ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে৷ সন্ত্রাসের অস্তিত্ব রাখা হবে না৷ সন্ত্রাস করলে পরিণতি হবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কিংবা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের মতোই৷
অ্যাডভোকেট কামরুল বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসের পথে হাঁটলে শুধু একজন গয়েশ্বর চন্দ্র বা একজন মোয়াজ্জেম হোসেন আলালই নয়, দলটির সকল গয়েশ্বর বা আলালকে একই ভাগ্য বরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম কিছুই হবে না৷ মাঠে নামার মতো গতি বা সাংগঠনিক সামর্থ বিএনপির নেই৷ বরং আমরা মাঠে থাকবো৷
কামরুল বলেন, সাধারণ মানুষ যদি মাঠে নামে আমরা তাদের বাধা দেবো না৷ বিএনপি সাধারণ মানুষকে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারলে আমাদের কোনো কথা নেই৷ কিন্তু যদি সন্ত্রাস করে তাহলে সন্ত্রাস প্রতিহত করার সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ সন্ত্রাসের অস্তিত্ব রাখা হবে না, ঘোষণা কামরুলের৷
তিনি বলেন, আন্দোলন মানে কি ২০১৩ সালের মতো আন্দোলন? ২০১৩ সালের মতো সন্ত্রাসের আন্দোলন আমরা করতে দেবো না৷
বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলেছে দলটি নেতারা৷ এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অ্যাডভোকেট কামরূল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার কোনো অধিকার আমাদের নেই৷ কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা, সন্ত্রাস করা, কুত্সিত কথা বলা, ইতিহাস বিকৃতি মেনে নেওয়া হবে না৷ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরো বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দফতর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিলন, প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ প্রমুখ৷