গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪ : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত৷শুক্রবার বিকেলে রিমান্ড শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তসরুজ্জামানের আদালত৷এর আগে বিকেল তিনটায় গয়েশ্বরকে আদালতে হাজির করে১০দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানান শাহবাগ থানার পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন৷বুধবার রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধাদান ও এমপি ছবি বিশ্বাসকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার শাহবাগ থানায় দায়ের মামলায় (নম্বর-৩৩) গয়েশ্বর রায়কে শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ৷পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়৷ সেখান থেকে বিকেল তিনটায় আদালতে হাজির করা হয়৷

শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিল হোসেন শুক্রবার বিকালে এই বিএনপি নেতাকে ঢাকার মহানগরহাকিমআদালতেহাজিরকরেদশদিনের রিমান্ডেনিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন৷অন্যদিকেগয়েশ্বরেরপক্ষে এর বিরোধিতা করে জামিনেরআবেদন জানান তার আইনজীবীরা৷শুনানি শেষে মহানগর হাকিম তসরুজ্জামান তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন৷

রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ ও সাংসদের ওপর হামলার ঘটনার একদিন পর শুক্রবার ভোরে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে এই বিএনপি নেতাকে নিয়ে যায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ৷ গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান পরে বলেন, সাংসদ ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলার শাহবাগ থানার মামলায় গয়েশ্বরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে৷

বুধবার রাতে দায়ের করা ওই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুল আওয়াল মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারি হেলালসহ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের আসামি করা হলেও সেখানে গয়েশ্বরের নাম ছিল না৷আর এমন এক সময়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় যখন গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ মাঠে খালেদা জিয়ার জনসভা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি ঘোষণায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে উত্তেজনা চলছে৷

খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে বুধবার বকশীবাজারে বিএনপি ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়৷ এর মধ্যেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলা চালিয়ে তার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়৷ সাংসদ নিজে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন৷

পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও ছাত্রদলকর্মীদের দায়ী করলেও বিএনপি তা অস্বীকার করেছে৷সংঘর্ষের পর বুধবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় সাংসদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়, যাতে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়৷আর সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ চকবাজার থানায় আরেকটি মামলা করে, যাতে ৭০ জন বিএনপি নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়৷সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছাত্রলীগ কর্মীদের ছবি পরদিন বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলেও মামলায় সরকার সমর্থক এ ছাত্র সংগঠনের কেউ আসামি হয়নি৷