দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪ : খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরম্নল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র ২০১৩ সালের মতো দেশে আবারও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার একটি পাঁয়তারা চালাচ্ছে৷ তারা অতীতের মত এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশে শানত্মি ফিরে এসেছে৷ মানুষের মধ্যে এখন আর আতঙ্ক নেই৷ দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে৷ এখন কাউকে আর নৈরাজ্য সৃষ্টির সুযোগ দেয়া হবে না৷ কামরুল ইসলাম শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বীরউত্তম খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন৷মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করে বক্তব্য দেওয়ায় তারেক রহমানের বিচার ও শাসত্মির দাবীতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷
সভাপতি হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ৷কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি একদিকে বিদেশী বন্ধুদের দিয়ে সরকারকে চাপ সৃষ্টি করছে৷ অন্যদিকে নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি৷ তারা যতই চেষ্টা করুক, কোন লাভ হবে না৷ সন্ত্রাস করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ৷ তিনি বলেন,ভবিষ্যতে বেগম খালেদা জিয়া আদালতে যাবেন না বলেই বুধবার একটি অঘটন ঘটিয়েছেন৷ আগামী ৭ জানুয়ারি তিনি নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে আদালতে যাবে না৷ তাই এ ক্ষেত্রটি তৈরি করছেন খালেদা জিয়া নিজে৷ লাঠি নিয়ে আদালতে যাওয়া- এটা কোন ধরনের সংস্কৃতি৷ এ ধরনের আচরণ করে খালেদা জিয়া আদালতকে অপমান করেছেন৷বকশীবাজারের ঘটনায় ছাত্রলীগ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম৷
কামরুল ইসলাম বলেন, বকশীবাজার এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ সঠিক সময় ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ এ জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই৷তিনি বলেন, দুর্নীতি মামলার বিচারকে বাধাগ্রস্ত করা বড় দুর্নীতি৷ ভবিষ্যতে খালেদা জিয়া আদালতে যাবেন না বলেই গত বুধবার একটি অঘটন ঘটিয়েছে তারা৷ আগামী ৭ জানুয়ারি তিনি নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে আদালতে যাবেন না৷ তাই এ ক্ষেত্রটি তৈরি করছেন তিনি৷ লাঠি নিয়ে আদালতে যাওয়া এটা কোনো ধরনের সংস্কৃতি? এ ধরনের আচরণ করে খালেদা জিয়া আদালতকে অপমান করেছেন৷ কামরুল ইসলাম বলেন, একটু আগে শুনেছি, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় গ্রেপ্তার হয়েছেন৷ এরপর দেখবেন আস্তে আস্তে বিএনপির সব নেতাকর্মী হারিয়ে গেছে৷ আর একজন আছে দেখবেন কাঁথা বালিশ নিয়ে পার্টি অফিসে ঘুমিয়ে আছে৷ আর একটু পরপর সাংবাদিকদের ডেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন৷ তাদের আন্দোলনের হুমকি কাগুজে৷ তাদের কোনো কিছু করার ক্ষমতা নেই৷ রাজনীতি করতে যে শক্তি লাগে তা বিএনপির নেই৷একই অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির সন্ত্রাস মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে৷ আগামীতে বিএনপি-জামায়াত রোধে ছাত্রলীগকে আরও কাযর্্কর ভূমিকা রাখতে হবে৷
আগামীকাল গাজীপুরে কে সমাবেশ করবে বিএনপি না ছাত্রলীগ- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাজীপুরে কী হবে না হবে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই ভালো জানে৷২০১৩ সালের মতো বাংলাদেশে আর কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ দেয়া হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ২০১৩ সালের মতো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচেছ৷ বিএনপি এদেশের রাজনৈতিক শিষ্টাচার নষ্ট করেছে৷ তাই খালেদা ও তারেককে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে৷ তবেই এ দেশের রাজনীতিতে শিষ্টাচার ফিরে আসবে৷