দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এখন থেকে সময় মতো পরীক্ষা গ্রহণ এবং পরীক্ষার তিন মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে৷বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যাঞ্চেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদ এ কথা বলেন৷
এসময় প্রো ভিসি মুনাজ আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ নোমানুর রশিদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, ইন্সপেক্টর অব কলেজ- এর শামসুদ্দিন ইলিয়াস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি, এখন থেকে পরীক্ষার তিন মাসের মধ্য ফলাফল প্রকাশ করবো৷ সেশনজট নিরসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে সেশনজটমুক্ত৷ ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) কোর্সের শিক্ষার্থীরা যাতে চারবছরে অনার্স ও তিন বছরে ডিগ্রি পাস করতে পারে সেজন্য প্রতিবছরের পরীক্ষার সময়সূচি অগ্রিম ঘোষণা করা হয়েছে৷ ফলে এখন থেকে যারা ভর্তি হবে তাদের ক্ষেত্রে কোনো রেসশনজট থাকবে না৷
চলমান সেশন জট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা বিভিন্ন বর্ষের পুরাতন শিক্ষার্থী তাদের সেশনজট নিরসনে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হয়েছে এবং তা শিগগিরই ঘোষণা করা হবে৷ এর ফলে একবছর থেকে চার মাস পর্যন্ত সেশনজট কমিয়ে আনা সম্ভব হবে৷
সেশনজট প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, সেশনজটের প্রধান কারণ হলো কেন্দ্রীভূত প্রশাসন, গতানুগতিক প্রশাসন পরিচালনা ও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেশন জট নিরসনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বিকেন্দ্রীকরণ ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর করে ঢেলে সাজানো হবে৷
ড. হারুন বলেন, আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোকে স্থায়ী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ এছাড়াও নতুন প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার তৈরিসহ নানা পদক্ষেপ ইতিমধ্যে নেয়া হয়েছে৷আগামী ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি৷
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিকেন্দ্রীকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এজন্য আমাদেরকে চিন্তা করে অগ্রসর হওয়া দরকার৷ এ ক্ষেত্রে সকলের মতামত গ্রহণ করে অগ্রসর হতে হবে৷এক সময় ঢাকা চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত তত্কালীন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কলেজসমূহের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও নিবির মনিটরিং না হওয়ায় অতিরিক্ত চাপ কমাতে কুদরত এ খুদা শিক্ষা কমিশনের আলোকে ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়৷ বর্তমানে এর কলেবর আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে৷উল্লেখ্য,সমপ্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কলেজসমূহের অনার্স-মাস্টার্স কোর্স পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন৷