দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর: অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রাজশাহী-৪ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ এনামুল হককে অব্যাহতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)৷ সংস্থাটি অভিযোগ তদন্তের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পরামর্শ দিয়েছে৷ দুদকের কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন বুধবার এ তথ্য জানান৷ দুদকের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটি নথিভুক্ত করার অনুমোদন দেন৷ একই সঙ্গে অভিযোগটি কর ফাঁকি-সংক্রান্ত বিষয়ে হওয়ায় এনবিআরের অধিভুক্ত বলে মত দেন৷ তিন মাস আগে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা যতন কুমার রায় সাংসদ এনামুলের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন৷ প্রতিবেদনে সাংসদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়৷ এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে দুদকের দুই কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন ও নাসিরউদ্দিন আহমেদ পরস্পরবিরোধী অবস্থান নেন৷ মো. সাহাবুদ্দিন অভিযোগটি নথিভুক্ত করার পক্ষে অবস্থান জানান৷ নাসিরউদ্দিন আহমেদ সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুপারিশ করেন৷ পরে কমিশনার নাসিরউদ্দিন তাঁর অবস্থান বদলে অভিযোগটি পুনরায় অনুসন্ধানের পক্ষে মত দেন
এদিকে, অবশেষে আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের তার আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসার কথা স্বীকার করেছেন৷ তবে এই ব্যবসার বৈধতার লাইসেন্স বা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)৷ বুধবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর কাছে মুসাকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা৷ জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান৷ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই দুদক কমিশনার বলেন, মুসা বিন শমসেরের জীবন-যাপন, আচার-আচরণ সব কিছুই অস্বাভাবিক ও রহস্যজনক৷ সুইস ব্যাংকে ৫১ হাজার কোটি টাকা জব্দ করার তথ্যসহ অনেক তথ্যই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ‘বিজনেস এশিয়া’র মাধ্যমে পাই৷ এর পরপরই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিই৷ দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে ‘প্রিন্স মুসা’ নামে পরিচিত এই ব্যবসায়ী তার সব অর্জনকেই বৈধ বলে দাবি করেছেন বলে উল্লেখ করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু৷ চুপ্পু জানান, মুসা তার অস্ত্র ব্যবসার কথা স্বীকার করেছেন৷ তবে তার অস্ত্র ব্যবসার বৈধতা প্রমাণে এ সংক্রান্ত কোনো লাইসেন্স বা সহায়ক কাগজপত্র দেখাতে পারেননি৷ বরং উল্টো দুদক কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, অস্ত্র ব্যবসার বিষয়টি অতি গোপনীয়৷ একথা বলে এ ব্যাপারে আর কিছু বলতেও রাজি হননি তিনি৷ তবে তাকে দুদকের কাছে অবশ্যই তথ্য প্রকাশ করতে হবে৷ প্রয়োজনে তাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ বলে জানান চুপ্পু৷