দৈনিকবার্তা-বরগুনা, ২২ ডিসেম্বর: বরগুনা -১ আসনের (সদর-আমতলী-তালতলী) সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্রদেবনাথ শম্ভু স্থানীয় পানি উন্নযন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে এ ঘটনা ঘটে৷ সাংসদ ধীরেন্দ্রদেবনাথ শম্ভু অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে রোববার রাতে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তাঁকে বকাঝকা করেছি৷’
প্রত্যক্ষদশর্ীরা জানান, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে রোববার দুপুরে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আগাম মহড়ার আয়োজন করা হয়৷ এতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলার অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি বিভাগ সমূহের ঊধর্্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন৷
দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাউবোর বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক জেলা প্রশাসকের কক্ষে যাওয়ার সময় সাংসদ ধীরেন্দ্রদেবনাথ শম্ভু সেখানে উপস্থিত হন এবং আকষ্মিক তাঁর ওপর চড়াও হন৷ একপর্যায়ে সাংসদ তাঁর ( মালেক) জামার কলার ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন৷ এসময় সাংসদ উত্তেজিত হযে বলতে থাকেন, ‘লাঠি কোথায়? ওকে (নির্বাহী প্রকৌশলী) লাঠিপেটা করবো৷’ ঘটনার আকষ্মিকতায় সেখানে উপস্থিত জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হতভম্ব হয়ে যান৷ এরপর সাংসদ জেলা প্রশাসকের কক্ষে ঢোকেন এবং প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সেরে মহড়ায় যোগ দেন৷
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক বলেন,’রোববার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে সাংসদ আমাকে ফোন করে জেলার আমতলী উপজেলায় সেকান্দারখালী এলাকায় বাঁধের গাছ কাটার কথা জানায়৷ এরপর ১১ টার দিকে পুনরায় সাংসদ ফোন করলে আমি তাঁকে বলি,স্যার সেখানে লোক পাঠিয়েছি খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি৷ একথা বলার পর পরই সাংসদ কিছুটা রাগান্বিত হয়ে আমার ফোন রেখে দেন৷ পরে আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর টেলি কনফারেন্স উপলক্ষে আগাম মহড়া অনুষ্টানে যোগ দিতে সেখানে যাই৷ সেখানে বসে আমাকে তিনি কিল-ঘুষি মারেন৷ আমি বিষয়টি মাননীয় পানি সম্পদমন্ত্রী, পাউবোর ঊধর্্বতন কর্মকর্তা এবং বিশ্বব্যাংকের সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়েছি৷’
আবদুল মালেক আৰেপ করে বলেন,’বাঁধ সংস্কারের জন্য গাছ কেটেছে এ জন্য সংশিস্নষ্টদের বিরম্নদ্ধে বন বিভাগ মামলা করতে পারে এজন্য এমপি সাহেব আমাকে মারনে এটা তো ইস্যা হতে পারে না৷’তবে তাহলে ইসু্যটা কি ? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,’ ইসু্যটা হচ্ছে বরগুনা জেলায় সোয়া ২০০ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে এটার একটা হিস্যা তাঁরা পাবেন না? এটা তাঁরা জেনেছে এটাই হলো ইসু্য৷ জেলা প্রশাসক, এসপিসহ অনেক কর্মকর্তার সামনে এই ঘটনা ঘটছে৷বরগুনার পুলিশ সুপার মো.সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেণ৷