দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর: আগামী জুলাই থেকে এক লাফে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷সরকারী-আধা সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্তত ১৩ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারি এর সুফল পাবেন৷বেতন বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তে সরকারি কর্মচারিরা খুশি হলেও দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়বে এমন আশংকা করছেন অর্থনীতিবীদরা৷কারন এমনিতে মূল্যস্ফীতি নিয়্ন্ত্রণ করতে পারছে না৷ আর এক লাফে একশো ভাগ বেতন বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতিতে এটা নিশ্চিত৷
এব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের একটা প্রত্যক্ষ ফল হবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া৷ তিনি বলেন, ২০১০-১১ সালে দেশে মূদ্রাস্ফীতি ছিল ১১ শতাংশ৷ এরপর কমতে কমতে সেটা সাত শতাংশ নেমেছে৷ চলতি অর্থবছরের মূদ্রাস্ফীতির হার এখনো জানা যায়নি৷
এম এম আকাশ বলেন, মূদ্রাস্ফীতির অবস্থা কি দাঁড়াবে সেটা নির্ভর করবে সরকার এই বেতন বৃদ্ধির অর্থটা কোত্থেকে জোগান দেয় তার ওপর৷ সরকার যদি ব্যাংক ঋণ নিয়ে বা নোট ছাপিয়ে এই বাড়তি বেতন জোগান দেয়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই মূদ্রাস্ফীতির ওপর এর প্রভাব পড়বে৷
তিনি বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন বেসরকারি খাতের ওপরও বেতন বৃদ্ধির জন্য চাপ বাড়বে৷ সেটা যদি হয়, তখন মূদ্রাস্ফীতির হার আবারও দুই অংকের ঘরে পৌঁছে যেতে পারে৷এমনিতে সরকারকে প্রতি বছর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবাদ প্রতি বছর ব্যয় করতে হয় ৩৫ হাজার কোটি টাকা৷ নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ণ হলে এর পরিমাণ ৬১ হাজার কোটি টাকায় দাড়াবে৷ যা বাজেটের প্রায় ৩৫ শতাংশ৷
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, বিপুল পরিমাণ ব্যয় নির্বাহ করতে সরকারকে ব্যাংক ঋণের ওপর নিভর হবে৷ অন্যথায় রাজস্ব আহরন আরো বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে৷ তবে সরকার যাই করুক মূল্যস্ফীতি যে বাড়তে তাতে কোন সন্দেহ নেই৷