r514

দৈনিকবার্তা, ২১ ডিসেম্বর: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে রোবাবর ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের আয়োজনে ্তুঝসড়শরহম: ওঃ শরষষং্থ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷এর আগে সকাল ১০ টায় এ উপলৰে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে জহির রায়হান মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়৷ অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.ফারজানা ইসলাম প্রধান অতিথি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রাণ গোপাল দত্ত প্রধান বক্তা, জাবি প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন৷

প্রধান বক্তা ড. প্রাণ গোপাল দত্ত তার ভাষণে বলেন, উন্নয়নশীল দেশে প্রায় ৮০% মানুষ নানাভাবে ধূমপানে আসক্ত৷ ধূমপায়ীদের মধ্যে ৫০% মারা যান ধূমপানের কারণে৷ ধূমপায়ীর কারণে অধূমপায়ীদেরও ভয়াবহ ক্ষতি হয়৷ তিনি বলেন, তামাক বা তামাকজাত দ্রব্যে ১৯ রকম ক্যান্সারের জীবানু আছে৷ যা থেকে হার্ট এ্যাটাক, ব্রেণ হ্যামারেজ, ফুসফুস, জরায়ু ও মুখের ক্যান্সারসহ অনেক রকম ব্যাধি হয়ে থাকে৷ ড. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, নারী ধূমপায়ীর মৃতৃ্যঝুঁকি আগের তুলনায় বেড়ে গেছে৷ ধূমপায়ীরা অত্যনত্ম কষ্ট ভোগের পর মৃতু্যবরণ করেন৷ প্রধান বক্তা বলেন, তামাকের বিকল্প অর্থকরী শস্যের আবাদ বাড়ানো এবং তামাক চাষীদের অন্য শস্য চাষাবাদে অনুপ্রাণিত করে তামাক উত্‍পাদন নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন৷ সারা দেশে শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে ধূমপায়ী সংখ্যা কমানো যেতে পারে৷ প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ধূমপানের ভয়াবহ ক্ষতির কথা সবাইকে জানাতে হবে এবং মানুষকে সচেতন করার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে৷ ধূমপানকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে এর প্রতিরোধের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার৷