rial_949348964

দৈনিকবার্তা, ২১ ডিসেম্বর: আর্জেন্টাইন ক্লাব সান লোরেনজোকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মত ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ৷ সার্জিও রামোস এবং গ্যারেথ বেলের গোলে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নদের জয় নিশ্চিত হয়৷গত এক বছরে চ্যাম্পিয়নস লীগ, কোপা ডেল রে এবং ইউয়েফা সুপার কাপের পরে কার্লো আনচেলত্তির দলের নতুন এই প্রাপ্তি ক্লাবের কৃতিত্বের মুকুটে আরেকটি পালক যোগ করলো৷

দুই অর্ধে দুই গোল করে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ২২তম জয় তুলে নিল গ্যালাকটিকোরা৷ মরক্কোর মারাকে স্টেডিয়াম ভর্তি বিপুল সংখ্যক দর্শক পুরো ম্যাচে তাদের অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে গেছে প্রিয় ক্লাব রিয়ালকে৷ দুই দলের কাছ থেকেই দারম্নন এক প্রতিদ্বন্দ্বীতার আশায় মারাকে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিল প্রায় ৩৮ হাজার দর্শক৷ কিন’ আর্জেন্টাইন ক্লাব সান লোরেনজো রিয়ালের বিপৰে তেমন একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি৷

ম্যাচ শেষে রামোস বলেছেন, এটা সত্যিকার অর্থেই আমাদের জন্য একটি বিশেষ দিন৷ একটি দল হিসেবে আমরা যেভাবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের গড়ে তুলেছি তার পুরস্কার আজ পেয়েছি৷প্রথম আক্রমনেই রিয়াল প্রায় গোল পেয়ে গিয়েছিল৷ ডানদিক থেকে রোনাল্ডোর লো ক্রস করিম বেনজেমা ঠিকভাবে ধরতে পারেনি৷ এরপর প্রায় আধা ঘন্টা পর্যনত্ম সান লোরেনজো বেশ ভালভাবেই রিয়ালকে আটকাতে সৰম হয়৷ তবে ৩৭ মিনিটে ডেডলক ভাঙ্গেন রামোস৷ ডানদিক থেকে টনি ক্রুসের কর্ণারে মাথা ছুঁয়ে রিয়ালকে এগিয়ে দেন রামোস৷ অথচ সেমিফাইনালে ক্রুস আজুলের বিপৰে ৪-০ গোলের জয়ে ইনজুরিতে পড়া এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের ফাইনালে খেলা প্রায় অনিশ্চিত ছিল৷ ম্যাচে ৪০টি ফাউলের বাঁশি, ছয়টি হলুদ কার্ড, উভয় দলের খেলোয়াড়দের সাথে বারবার বিরোধ এসব কারনে ম্যাচ নিয়ন্ত্রনে গুয়াতেমালার রেফারী ওয়াল্টার লোপেজকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে৷

৫১ মিনিটে ইসকোর পাস থেকে বেল দলের ব্যবধান দ্বিগুন করেন৷ সান লোরেনজের গোলরৰক সেবাস্টিন টোরিকো ঝাঁপিয়ে পড়েও বেলের শট আটকাতে পারেননি৷ এদিকে নিজেকে প্রথমবারের মত কোন পরীৰার মুখোমুখি হতে রিয়ালের গোলরৰক ইকার ক্যাসিয়াসকে ৬৫ মিনিট পর্যনত্ম অপেৰা করতে হয়েছে৷ যদিও ইমানুয়েল মাসের লো শট আটকাতে তাকে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি৷ হুয়ান মারসিয়ার একং ইনজো কালিনস্কির দুটি শটও পরে প্রতিহত করে সান লোরেনজোকে হতাশ করেন ক্যাসিয়াস৷ ম্যাচের শেষের দিকে রিয়ালও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে৷

ম্যাচ শেষে সান লোরেনজো কোচ এডগার্ডো বাওজা বলেছেন, ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রম্নমে আমি খেলোয়াড়দের বলেছি চলতি বছর এই দলটিকে নেতৃত্ব দিতে পেরে আমি দারম্নন গর্বিত৷ প্রতিটি পরাজয়ই হতাশার, এমনকি সেটা বিশ্বের সেরা দল রিয়াল মাদ্রিদের মত কোন দল হোক না কেন৷ আমাদের এটা মেনে নিতেই হবে৷এর আগে রিয়াল তিনবার পুরনো ইন্টানকন্টিনেন্টাল কাপ জিতলেওবশ্বকাপের শিরোপা এবারই প্রথম৷ ২০০২ সালে সর্বশেষ তারা এই শিরোপা জিতেছিল৷রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, এই শিরোপাটা আমাদের প্রাপ্য ছিল৷ এখন আমরা অনায়াসেই বলতে পারি এই মুহূর্তে রিয়াল মাদ্রিদ বিশ্বের সেরা দল৷