স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম-2

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, যারা ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেছে তারা মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবে না৷তিনি বলেন, যারা ভর্তি পরিক্ষায় পাশ করেনি- তাদের ভর্তি হবার সুযোগ আমি কী ভাবে দেব ? যারা পাশ করেনি, তারা কী ভাবে ডাক্তার হবে ? যে ফেল করেছে তাকে ভর্তি করবো -এ ধরনের মন মানসিকতার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমি নই৷ তিনি বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরের কিডনি ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্স ইনস্টিটিউটের দশম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন৷কিডনি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ঘারুন-উর-রশীদের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরম্নল হক, কিডনি ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম মুহিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন৷ মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বেসরকারি উদ্যোগে আরও হাসপাতাল হলে সরকার সহযোগিতা করবে৷ স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ থাকতে হবে৷ সরকার বারডেম, শিশুস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন, কিডনি ফাউন্ডেশনের মতো উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে চায়৷তিনি বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে মেডিকেল শিক্ষার মান বজায় রাখার আহবান জানান৷ ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করাদের ভর্তি না করার পরামর্শ দেন৷ তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন চাই৷ কিন্তু মোহনার মতো ভেজাল হাসপাতাল আমরা কিছুতেই চাই না৷ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, কিডনি সংযোজনে অতীতে অনেক দালাল দরিদ্র মানুষকে প্রতারিত করেছে৷ এ সংক্রানত্ম একটি আইনের খসড়া ইতোমধ্যে চুড়ানত্ম হবার পথে৷ আগামী ২৮ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কিডনি সমর্্পিকত আইনের খসড়া চূড়ানত্ম করে আগামী জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তা পাশ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে৷স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা জঙ্গিবাদ নিমর্ূলে সৰম হয়েছি৷ বাংলাদেশে এখন শানত্মি বিরাজ করছে৷পাকিসত্মানে নিহত শিশুদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে নাসিম বলেন, আমরা পাকিসত্মান থেকে আলাদা হয়ে উত্তম কাজ করেছি৷ এজন্য বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই৷ তারা কীসের ধর্মের কথা বলে ? কীসের ইসলামের কথা বলে ? তারা বিশ্ব মানবতাকে হত্যা করছে৷ শিশুদের হত্যা করছে৷ সূচনা বক্তব্যে কিডনি ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক এম মুহিবুর রহমান জানান, ২০০৩ সালে ৭০ হাজার টাকায় ধানম-ির একটি ভাড়াবাড়িতে ৬টি ডায়ালসিসি মেশিন নিয়ে কিডনি ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরম্ন করে৷ বর্তমানে কিডনি ফাউন্ডেশন ১৫০ শয্যার হাসপাতালে পরিণত হয়েছে৷ ৪৫টি ডায়ালসিস মেশিন দ্বারা ১২০-১৩০ জন রোগী প্রতিদিন ডায়ালসিস করার সুযোগ পা”েছ৷ ১৬ শয্যার নিবিড় পর্যবেৰণ কেন্দ্র ও ৩টি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে৷ এ পর্যনত্ম ২৯৬ জন রোগী এখানে কিডনি সংযোজন করেছেন৷ ২০১১ সাল থেকে ডায়ালাইসিস সেবা বাড়ি বাড়ি যেয়ে দিচ্ছে কিডনি ফাউন্ডেশন৷ এ পর্যনত্ম ১৬১ জন এ সেবা পেয়েছেন৷