দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের শানত্মির সংস্কৃতি প্রসত্মাবনা সর্বসম্মতিক্রমে প্রসত্মাব আকারে গৃহীত হয়েছে৷ নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার সকালে সাধারণ পরিষদের এক সভায় উপস্থিত সকল সদস্য-রাষ্ট্রের সমর্থনে এটি প্রসত্মাব আকারে গৃহীত হয়৷
নিউইয়র্কের জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে আজ একানে প্রাপ্ত এক বার্তায একথা বলা হয়৷
এ বছর ৯৭টি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রসত্মাবের কো-স্পন্সর ছিল৷ ২৫টি দেশ এই প্রসত্মাবের উপর বক্তব্য দিয়েছে৷প্রসত্মাব পাশ হওয়ার পর তাত্ৰণিক এক প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ,কে আব্দুল মোমেন বলেন, এই প্রসত্মাবের মূল শেস্নাগান হচ্ছে- মানুষের অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা কমালে স্থায়ী শানত্মি আসবে৷
এ বছরই প্রথম অনেকগুলো ইউরোপীয় দেশ কো-স্পন্সর করেছে৷ এবারের প্রসত্মাবে যুবশক্তি ও নারীর জন্য কার্যপ্রক্রিয়া ও আচরণ নির্দেশনা যোগ হয়েছে৷ আগের মতই এনজিও এবং সিভিল সোসাইটি সম্পর্কে নির্দেশনা ছিল৷তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক টানা পোড়েনের মাঝে এবং গণ মাধ্যমের নেতিবাচক প্রচারের পরও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের বিপুল সমর্থন এটাই প্রমাণ করে, বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রতি বিশ্ববাসীর গভীর আস্থা রয়েছে ৷ দ্বিতীয়ত: জাতীয় উন্নয়নে সকল মানুষকে সম্পৃক্ত করার জন্য শানত্মির সংস্কৃতির বিকল্প নেই৷ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের এই প্রসত্মাবে একযোগে কাজ করার অংগীকার ব্যক্ত করেছেন৷ এই প্রসত্মাবে বিশ্বের প্রতিটি মহাদেশের সমর্থন ছিল৷ বিগত বছরের তুলনায় এবার বিপুল সংখ্যক সমর্থন ছিল ৷
জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তব্যে ড. আব্দুল মোমেন বলেন, মানুষের জন্য স্থায়ী শানত্মি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য ধর্ম, বর্ণ ও জাতি গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে৷ সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সমাজের বিশেষ নজরে আনতে হবে৷ শিৰার প্রসার এবং একদর্শী চিনত্মাধারার পরিবর্তন করে মানুষের সামগ্রিক উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও শানত্মি নিশ্চিত করা সম্ভব৷ সামগ্রিক চিনত্মার কেন্দ্র বিন্দুতে মানবকল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে৷
শানত্মির সংস্কৃতি বিষয়ক প্রসত্মাবটি ১৯৯৯ সালে প্রথম উপস্থাপিত হয়৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে শানত্মির সংস্কৃতি দশক বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়৷ ২০০১ থেকে প্রতি বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ প্রসত্মাবটি উপস্থাপন করে আসছে এবং তা প্রতিবছরই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়ে আসছে৷