দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন,স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশ বেতারের অবদান স্মরণীয়৷ আশা করছি অসামপ্রায়িক বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ বেতার বিশেষ ভূমিকা রাখবে৷সোমবার সকালে রাজধানীর শাহবাগস্থ বেতার ভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বেতারের হীরক জয়নত্মি (৭৫ বছর পূর্তি) উপলক্ষে বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন৷র্যালি শেষে বেতারের সদর দপ্তরে এসে হাসানুল হক ইনু জানান, বেতারকে আধুনিকায়নের চেষ্টা চলছে৷ এর আগে, সকাল সোয়া ৯টায় বেতারের হীরকজয়ন্তি উপলক্ষে শাহবাগের সদর দপ্তরে এক র্যালির আয়োজন করা হয়৷ তথ্যমন্ত্রী ছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ৷
বেতারের তথ্য প্রযুক্তি আরও উন্নত করা হবে৷ যেন মোবাইল হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে মানুষ বেতারের অনুষ্ঠান সমূহ শুনতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হবে৷সদর দপ্তর থেকে বের হয়ে শাহবাগ ঘুরে বাংলামোটর হয়ে আবার সদর দপ্তরে ফিরে আসে র্যালিটি৷র্যালি শেষে বেতারের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন৷তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বর্তমান সরকার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে অঙ্গীকার নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে বেতার দারিদ্র্যমুক্ত, শোষণমুক্ত ও অসমপ্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের সহযাত্রী৷তিনি বলেন, একাত্তরের স্মরণীয় ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ বেতার মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করবে আজীবন৷
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিবাহিনীর লড়াইয়ে হানাদারদের ঘায়েল করতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা অনন্য৷ মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র মুক্তিকামী মানুষকে যেমন স্বাধীনতায় উদ্বুদ্ধ ও উজ্জীবিত করেছে তেমনি দিক-নির্দেশনা দিয়ে প্রেরণাও যুগিয়েছে৷
তিনি বলেন, পরাধীন পাকিসত্মান আমলেও সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এই বেতার বাঙালির সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা করে অনুষ্ঠান সমপ্রচার করেছে৷পরে শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ, বেতারের মহাপরিচালক কাজী আক্তার উদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবুল হোসেন, নাসির উদ্দীন আহমেদসহ বাংলাদেশ বেতারের সকল সত্মরের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং কলা-কুশলী ও শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন৷
তথ্যমন্ত্রী বলেন,পরাধীন আমলে বেতারের যাত্রা শুরম্ন হলেও পঁচাত্তর বছর পর্যনত্ম বেতার আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা ও লালন করে চলেছে৷তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতারের প্রয়োজন এখনও ফুরিয়ে যায়নি৷ বর্তমানে মোবাইল ফোনের কল্যাণে সকলের হাতের মুঠোয় বেতার পৌঁছে গেছে৷ বেতার আগে যেমন জনগণের পক্ষে ছিল, আগামীতেও তেমনি জনগণের পক্ষে থেকে শোষণমুক্ত ও অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে৷
মন্ত্রী শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে বেতারের ৭৫ বছরের পথচলায় যাদের হাত ধরে এগিয়ে গিয়েছে তাদের স্মরণ করেন এবং এখনও যারা বেতারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাদের ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, বেতার হচেছ আমাদের অন্যতম প্রাচীন গণমাধ্যম৷শোভাযাত্রাটি শাহবাগ বেতার ভবন থেকে শুরম্ন হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে শাহবাগে এসে শেষ হয়৷ বিভিন্ন রঙ ও আকারের বেলুন, ফেস্টুন ও ঘোড়ার গাড়ি শোভাযাত্রার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ৷ বিকেলে আগারগাঁওস্থ বেতার ভবনে প্রধানমন্ত্রী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যনত্ম ৪ দিনব্যাপী হীরক জয়নত্মি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন৷