দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর: পারস্পরিকআলোচনার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যেকার সকল সমস্যা সমাধান করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু৷শনিবার শিল্পমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’তে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রি সমিতি আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন৷মহান বিজয়ের মাসের স্মরণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়৷
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান মৈত্রিত্বের বন্ধন রক্ত ও আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে সূচিত হয়েছে৷তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে এ ২টি দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের তৈরি হয়েছে তা সব সময় অটুট থাকবে৷
তিনি বলেন,একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি শহীদানের পাশাপাশি এগার হাজার ভারতীয় সৈন্য জীবন উত্সর্গ করেছিলো৷ মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের অকুন্ঠ সমর্থন এবং ভারতীয় সেনাদের আত্মত্যাগকে বাংলাদেশের জনগণ চিরকাল গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান (পদ্মভূষণ), প্রখ্যাত কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সচিব বিএমএম মোজহারুল হক, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) নিনাদ এস দেশপান্ডে এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী বক্তব্য রাখেন৷
শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রীস্টানসহ সকল ধর্মাবলম্বী জনগণের সম্মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার শুধু এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয়, খাদ্য ও আতিথেয়তাই দেয়নি, বরং পশ্চিমা হানাদার বাহিনীকে বিতাড়নের জন্য সর্বাত্মক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো৷ তিনি বলেন, দেশের জনগণের এ চরম দুঃসময়ে ভারত সরকার যে বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়েছে, তা ইতিহাসে বিরল৷ পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে যে কোনো বিষয় সমাধান হতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন৷
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে মৈত্রি সমিতি গঠন করা হয়েছে৷ এর মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক লেনদেন বৃদ্ধি, শিল্পখাতে পড্রযুক্তি হস্তান্তর, উন্নয়নধর্মী তথ্য বিনিময় এবং অভিন্ন ইসু্যতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জোরদার হচ্ছে৷ তারা রক্তের মাধ্যমে সূচিত বন্ধন অব্যাহত রেখে দু’দেশের জনগণের কল্যাণে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন ৷পরে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন৷ এসময় শিল্পমন্ত্রীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন৷