দৈনিকবার্তা-কুষ্টিয়া, ১২ ডিসেম্বর: যুদ্ধপরাধীদের এক চুলও ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু৷ তথ্যমন্ত্রী বলেন, জামায়াত ইসলামী যুদ্ধাপরাধীর একটি স্বীকৃত দল৷ তারা ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে মিলেছিল৷ যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে একটা মামলা আছে, সেই মামলা এখনো চলছে৷ সেই মামলার অগ্রগতির ওপর নিভর্র করছে জামায়াতে ইসলামী কখন কীভাবে নিষিদ্ধ হবে৷ দিনক্ষণ দিয়ে বলা যাবেনা৷ আর তাই স্বাধীন এই বাংলাদেশে যুদ্ধপরাধীদের এক চুলও ছাড় দেয়া হবেনা৷
শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা কলেজের নিয়োগ কমিটির সভায় যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন৷ বিএনপি চেয়ারপারসন সম্পর্কে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ইনু বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট করেছে, বিদেশে টাকা পাচার করেছে৷ তার বিরুদ্ধে মামলা আছে এবং দীর্ঘ ৬ বছর ধরে এখনো মামলা ঝুলছে৷ আমরা সেই মামলায় কোনো হস্তক্ষেপ করছি না৷ আমরা তো বলিনি বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন না দিয়ে জেলে পুরে রাখেন৷
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গণতন্ত্রের সংজ্ঞা অনুযায়ী সবরকম অধিকার ওনারা (খালেদা) ভোগ করছেন৷ শুধু বেগম খালেদা জিয়া মিছিল মিটিং করছে তা সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল করি এবং বোমা নিয়ে মিছিল মিটিং হলে তা প্রতিহত করি৷
বিএনপির নেতাকর্মীদের অত্যাচার ও নির্যাতন করা হচ্ছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সরকার এবংপ্রশাসন যদি স্বৈরাচারী হতো তাহলে বেগম জিয়া সকাল-বিকেল ফতোয়াজারি করতে পারতো না৷ তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট করেছে, বিদেশে টাকা পাচার করেছেন৷ তাই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷ আমরা সে মামলায় কোনো হস্তক্ষেপ করছি না৷
ইনু বলেন, খালেদা জিয়া সব ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করছেন৷ তবে তাদের মিছিল মিটিং আমরা সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল করি৷ বোমা নিয়ে মিছিল মিটিং করলে তো আমরা প্রতিহত করবোই৷
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকার বা প্রশাসন স্বৈরাচারী হলে খালেদা জিয়ার দশবার ফাঁসি হতো৷ কিন্তু খালেদা জিয়া এখনো বহাল তবিয়তে আছেন এবং সকাল-বিকাল জাতির উদ্দেশে ফতোয়া জারি করছেন৷ ইনু বলেন,এই যে আমি কুষ্টিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এখানকার বিরোধী নেতা-কর্মীরা তো জেলে নেই৷ সুতরাং বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চলছে এটা ডাহা মিথ্যা কথা৷
তিনি বলেন, সবকিছু মিলিয়ে গণতন্ত্রের সংজ্ঞানুযায়ী সব সুযোগ-সুবিধা তারা ভোগ করছেন৷শুধু বিএনপি নেত্রী আন্দোলনের হুঙ্কার দিয়ে যখন বোমা হাতে নাশকতার জন্য নেতা-কর্মীদের মাঠে নামান তখনই আমরা সর্তকর্তা অবলম্বন করি৷এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তি মনি চাকমা, ভেড়ামারা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শামছুর রহমান, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপন প্রমুখ৷ এরপর তথমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ভেড়ামারায় দলীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷