দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর: বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তির দাবি না মানলে সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট৷
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সংগঠনটি৷ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, আমাদের দাবি মেনে না নিলে আগামী ১০ জানুয়ারি কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনে নামবে দেশের শিক্ষক সমাজ৷ আমরা এমন আন্দোলন গড়ে তুলবো যা সরকার কোনো দিনও দেখেনি৷ তিনি বলেন, সরকারকে বলতে চাই আমাদের দাবি মেনে নিন, নয়তো ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী রাজপথে নেমে আন্দোলন করবে৷ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে৷
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তিনি কোনো দিন সত্য কথা বলেছেন বলে মনে হয় না৷ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের পেছনে শিক্ষামন্ত্রীই দায়ী৷ তিনি আমাদের জাতীয় স্কেলে অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু তা করেন নি৷
মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিচ্ছি৷ এর মধ্যে দাবি মেনে না নিলে আগামী ২২ ডিসেম্বর দেশের সব জেলায় মানববন্ধন, ৩ জানুয়ারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করা হবে৷আর ১০ জানুয়ারি ঢাকায় শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জাতীয় নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা থেকে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে৷ তিনি বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে বিরাজমান এ সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে৷ পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক সবাই উদ্বিগ্ন৷ বর্তমানে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে৷
শিক্ষার ব্যবস্থার বিষয়ে সরকার উদাসীন’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই ধ্বংস প্রাপ্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে শিক্ষকরাই টিকিয়ে রেখেছেন৷ এ অবস্থায় নতুন জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কানামাছি খেলছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়৷ নতুন জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্তি না করা হলে শিক্ষক-কর্মচারীরা ঘরে বসে থাকবে না৷ তারা রাজপথে নেমে আসবে, বলেন তিনি৷
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো.সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব চৌধুরী মুগীসউদ্দিন মাহমুদ, যুগ্ন মহাসচিব আজিজুল হক রাজা, মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. জাকির হোসেন, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন বাদল, অধ্যাপক আব্দুল হাকিম, বাবু অজিত্ কুমার প্রমুখ৷
