20472

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর: বন্দুক ও পিস্তলের জোরে আওয়ামী লীগ দেশের সব অর্জন কেড়ে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷তিনি বলেন, দেশের জনগণ ও বিদেশিদের চাপ থাকা সত্ত্বেও নিজেদের নিশ্চিত পরাজয় ও জামানত হারানোর ভয়ে নতুন নির্বাচন দিতে চাচ্ছে না বর্তমান অনির্বাচিত ক্ষতমাসীনরা৷

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক টওশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন৷ দেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের তাণ্ডব চলছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নির্লজ্জ ও জঘন্য দলীয়করণ, বর্বর ও ৗপৈশাচিক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী তাণ্ডব, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের হত্যা, গুম, অপহরণ, মিথ্যা মামলা এবং গণহারে গ্রেফতারের এমন ঘটনা স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো দেখেনি

অনৈতিক, অবৈধভাবে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিসর্জন দিয়ে অতীতের একদলীয় স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল৷ বক্তব্যের শুরুতে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি৷বর্তমান সরকার শুধু একটি মানুষকেই ভয় পায়, তিনি তারেক রহমান৷ এজন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে৷ তাকে ভয় পাওয়ার একটিই কারণ, তারেক রহমান দেশের মানুষের নয়নমণি৷ তিনি দেশে এলে সরকার বানের জলে ভেসে যাবে৷ তাই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে৷

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বন্দুকের জোরে একটি গোষ্ঠী ক্ষমতা দখল করে আছে৷ তাই জাতি হিসেবে, দেশ হিসেবে মহাসঙ্কটে আছি৷তিনি বলেন, এখন সবকিছু ভুলে চেপে বসে থাকা এ জগদ্দল পাথরকে সরাতে হবে৷ সেজন্য আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই৷ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বন্দুকের জোরে দেশের সব অর্জন কেড়ে নিয়েছে৷ সেই অর্জন ফিরে পেতে হলে সর্বশক্তি দিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে৷

৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এ নির্বাচনে গায়ের জোরে মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে৷ এখন তারা ভয়ে পায়, নির্বাচন দিতে চায় না৷ কারণ নির্বাচন দিলে তারা হেরে যাবে৷ দেশের নারী সমাজ যদি সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসে তাহলে গণতন্ত্র ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল৷

দেশের নারীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কি বোঝাতে চেয়েছেন জানি না, তাতে আমরা একমত নই৷ কারণ, নারীর সব অধিকারই হরণ হচ্ছে৷ নারীরা আজ নির্যাতিত, খুন হচ্ছেন, লাঞ্ছিত হচ্ছেন, ধর্ষিত হচ্ছেন৷ নারীরা এখনই বেশি লাঞ্ছিত৷ নারীদের অধিকার আদায়ে নারী-পুরুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন তিনি৷

মহিলা দলের দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভানেত্রী নূরে আরা সাফা৷এতে প্রধান আলোচক ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমদ৷এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন সারা দেশ থেকে আসা মহিলা দলের নেত্রীরা৷