দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর: মুক্তিযুদ্ধেরসময়মানবতাবিরোধীঅপরাধেরমামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই রাজাকার মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল৷বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল-২ তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যাসহ ৩টি অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন করেছে৷
অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হওয়ায় আগামী ১২জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপানের দিন ধার্য করা হয়েছে৷ট্রাইবু্যনালে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর শাহিদুর রহমান৷ অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আরিফুল ইসলামসহ অভিযুক্তরাও ট্রাইবু্যনালে উপস্থিত ছিলেন৷
গত ১০ নভেম্বর মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের তদন্ত সংস্থা৷ তাদের বিরুদ্ধে আটক,অপহরণ ও হত্যা, লুন্ঠন ও অগি্নসংযোগের তিনটি অভিযোগ আনা হয়৷তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়- মুক্তিযুদ্ধের মো. মাহিদুর রহমান এবং আফসার হোসেন চুটু স্বাধীনতা সংগ্রামকে অস্বীকার করে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদান করেন৷ রাজাকার বাহিনীর প্রশিক্ষণ নেয়ার পর তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার আদিনা ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ দখল করে সেখানে রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করে নির্যাতন শুরু করেন নিরস্ত্র মানুষের ওপর৷
তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করেন বলেও তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়৷গত ১৫ সেপ্টেম্বর একটি ফৌজদারি অপরাধের মামলায় শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের দাদনচক গ্রামের মাহিদুর রহমান ও বিনোদপুর ইউনিয়নের সাতরশিয়া গ্রামের আফসার হোসেন চুটুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ পরে তাদের স্থানীয় কারাগারে পাঠানো হয়৷
এদিকে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার মো. ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরম্নদ্ধে গত ৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছে ট্রাইবু্যনাল৷এ দুজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি সুনির্দিষ্ট ঘটনায় অভিযোগ আনা হয়েছে৷ অভিযোগের মধ্যে রয়েছে হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুট৷ তদনত্মে তাদের বিরম্নদ্ধে ১৫ জনকে হত্যা, প্রায় ৫’শ এর মতো বাড়িঘর লুট ও অগি্নসংযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ ওবায়দুল হকের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়ায় ও আতাউর রহমানের বাড়ী কেন্দুয়া এলাকায়৷মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ দুই আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন৷