দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র বন্দি জিজ্ঞাসাবাদ কমসূচিতে নিষ্ঠুর নির্যাতনের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো৷রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায় থেকে এ অত্যাচার চালানোর ‘পরিস্কার নীতিমালা’ নেয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এক শীর্ষ দূত৷
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলা পরবর্তী সময়ে জঙ্গি সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের জেরা করতে গিয়ে সিআইএ’র ‘নিষ্ঠুর’ নির্যাতন চালানোর তথ্য সম্বলিত ৪৮০ পাতার প্রতিবেদন মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে সিনেট গোয়েন্দা কমিটি ৷মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডবি্লউ বুশের অনুমতিতেই আটক জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব অত্যাচার চলত বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে৷ সিআইএ’ও জনগণকে মিথ্যা বলে তাদের অপকর্ম আড়াল করার চেষ্টা করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে৷
এখন তা প্রকাশের পর এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সময় এসেছে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ওদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এবং সন্ত্রাস-বিরোধী বিশেষ দূত বেন এমারসন বলেছেন, জর্জ ডবি্লউ বুশের আমলের ঊধর্্বতন যেসব কর্মকর্তারা ওই সমস্ত অপরাধ মঞ্জুর করেছিলেন তাদের বিচার হতেই হবে৷ সেইসঙ্গে বন্দিদেরকে পানিতে চুবিয়ে নির্যাতনের মতো নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো সিআইএ ও সরকারি কর্মকমর্তাদেরও বিচার হতে হবে৷
জেনেভায় এক বিবৃতিতে এমারসন বলেন, আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র দায়ী ব্যক্তিদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে বাধ্য৷দায়ীদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনতে মার্কিন এটর্নি জেনারেল আইনগতভাবে বাধ্য বলে জানান এমারসন৷
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এইচআরডবি্লউ’ এর নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রথ বলেছেন, “সিআইএ অপরাধ করেছে৷ এটি কখনোই যুক্তিসঙ্গত না৷
তিনি বলেন, সত্য বলার এ গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায় কর্মকর্তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্যাতনের বিষয়টি একটি বিকল্পপন্থা হিসাবে ভবিষ্যত্ প্রেসিডেন্টদের হাতে থেকে যাবে৷দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন বলেছে, বুশ প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা গোপন ওই নিষ্ঠুর নির্যাতন প্রক্রিয়া পরিকল্পনা করেছিলেন, চালিয়েছিলেন এবং অনুমোদন করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে একটি নিরপেক্ষ এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য এটর্নি জেনারেলের উচিত একজন বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগ করা৷অপরাধমূলক কর্মকান্ডের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিচার করা উচিত৷ আমাদের সিস্টেম অনুযায়ী কেউই আইনের ঊধের্্ব নয়৷