রাজশাহীতে ছাত্রদলের ১৪ নেতাকর্মীর জামিন

দৈনিকবার্তা-রাজশাহী,৮ডিসেম্বর : নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর সোমবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ নেতা৷ তাঁদের মুক্তির পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে ছাত্রদল৷ গোপন বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটকের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ নেতাকর্মী৷রোববার রাতে নগরীর মির্জাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে গোপন বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানসহ ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ৷

এদের মধ্যে পরীক্ষা থাকায় মুচলেকা নিয়ে সোমবার সকালে ২ জনকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়৷ আর ১৪ জনকে আরএমপি অধ্যাদেশ (সন্দেহভাজন) আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয় পুলিশ৷ রাজশাহী বারের সভাপতি ও আসামি পক্ষের আইনজীবী মোজাম্মেল হক বলেন, সোমবার দুপুর একটার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ জামিন আবেদনের শুনানি হয়৷ শুনানি শেষে বিচারক শারমিন আক্তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন৷ জামিন আবেদনের শুনানির সময় তাদের আদালতে হাজির করা হয়৷এর আগে সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন অধ্যাদেশ আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে চালান দেয় মতিহার থানা পুলিশ বলে জানান আইনজীবী মোজাম্মল হক৷

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন,’আরএমপি অধ্যাদেশ (সন্দেহভাজন) আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৪ জনকে মহানগর মূখ্য হাকিমের আদালতে চালান দেয়া হয়েছিল৷ এদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রয়েছেন৷ অন্যরাও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মী৷ আর অপর দুইজনের পরীক্ষা থাকায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে৷’ ওসি আরো বলেন, তাদের সঙ্গে আটক ৩০ নাম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও মির্জাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল হক দুইটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে৷ এর মধ্যে একটি অর্থ ঋণ আদালতের ও অপরটি ২০১২ সালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার দায়ের করা মামলা৷

রোববার রাতে নগরীর মির্জাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠকে বসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন৷ এসময় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ঘিরে ফেলে থানায় খবর দেয়৷ পরে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে৷ আটক নেতাকর্মীদের ছাড়িয়ে নিতে রাজশাহী সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল রাতেই মতিহার থানায় গিয়ে তদবির করে ব্যর্থ হন৷ পরে নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে সোমবার থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ছাত্রদল৷ রোববার রাত ১২টার দিকে থানা থেকে বের হয়ে এসে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি আহসানুজ্জামান অনিল এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেন৷ তবে সেই ধর্মঘটে তেমন সাড়া মেলেনি৷ছাত্রদলের নেতারা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহসভাপতি আহসানুজ্জামান অলিন ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা জানান৷