Abbas-Fakhrul

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ নেতাকর্মীর গাড়ি ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগের অভিযোগে পল্টন থানার একটি মামলায় চার্জ শুনানি পিছিয়ে ফের আগামি ২৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন৷ সোমবার মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য দিন থাকলেও মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা চার্জ শুনানি পিছিয়ে দেয়ার জন্য সময়ের আবেদন করেন৷ শুনানি শেষে বিচারক ঢাকার সিএমএম আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মইনুল ইসলাম ভূঁইয়া সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন৷

সোমবার মামলাটির চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল৷ অধিকাংশ আসামি আদালতে অনুপস্থিত থাকায় আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ চার্জ শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন৷ মামলার অন্যতম আসামি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷

এর আগে গত ৩ সেপ্টম্বরও এই মামলাটির চার্জ শুনানি না করার জন্য আসামিদের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হলে বিচারক তা মঞ্জুর করে আজকের দিনটি ধার্য করেন৷২০১৩ সালের ৩ মার্চ পল্টন থানা এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে এ মামলা করা হয়৷বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানসহ দলটির ২৬ নেতাকর্মীকে এ মামলার আসামি করা হয়৷

পল্টন থানার ৪(৩)১৩ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আসামি ২৬ জন৷ এছাড়া একই থানার ১৩(৩)১৩ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদসহ ৪১ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য একই দিন ধার্য করেছেন আদালত৷

মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক তারেক মঈনুল ইসলাম ভূইয়া আসামিদের পক্ষে সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই দিন ধার্য করেন৷ সোমবার এ মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল৷ কিন্তু মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস ও বরকত উল্লাহ বুলু আদালতে না আসায় তাদের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়৷ বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন৷ এছাড়া অন্যান্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷

গত ২ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত৷ ওইদিন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করেদেন৷ ওইদিন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ চারজন আদালতে না আসতে পারায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পারোয়ানা জারি করেন৷ যদিও পরদিন এ্যানি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন৷

২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে গাড়ি ভাঙচুর ও জনমনে সৃষ্টির অভিযোগে ৪৪ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করা হয়৷২০১৩ সালের ২৭ মার্চ গাড়ি ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ, পুলিশের কাজে বাধা, মারধর করে জনমনে অতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ৷

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি চলাকালে আসামিরা বিকাল পৌনে পাঁচটায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে এবং লোহার রড, শাবল, লাঠি ইত্যাদি নিয়া রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়৷