ডিসিসি নির্বাচন

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর:  ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে প্রশাসকদের মেয়াদ আর বাড়ছে না৷ আগামী বছরের শুরুতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হতে যাচ্ছে৷ ২০১৫ সালের শুরুতে মহানগরের দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৪ এর খসড়া প্রস্তাব ফেরত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেন৷

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কেবিনেটে দুই সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের মেয়াদ ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করার প্রস্তাব পাঠায় স্থানীয় সরকার বিভাগ৷ বৈঠকে কয়েকজন মন্ত্রী এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন৷ একজন সিনিয়র মন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তার বদলে রাজনৈতিক নেতাদেও প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের অভিমত ব্যক্ত করেন৷ মন্ত্রীদের বিরোধিতার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ডিসিসি নির্বাচনের নির্দেশ দেন৷ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী জানুয়ারি মাসে ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণের তফসিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী৷

২০০২ সালে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ আ\’লীগ ওই নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকা মেয়র নির্বাচিত হন৷ এরপর আ\’লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নির্বাচন না দিয়ে ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ডিসিসিকে উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়৷ নির্বাচন কমিশন ২০১২ সালের ২৪ মে দুই ডিসিসির নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করে তফসিল ঘোষণা করে৷ কিন্তু উচ্চ আদালতে রিট আবেদনের পর ওই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়৷ ২০১৩ সালের ১৩ মে উচ্চ আদালত নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও অদ্যাবধি নির্বাচন হয়নি৷সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিএনপির আসন্ন সরকার পতনের আন্দোলন ঠেকাতেই সরকার কৌশলে ডিসিসি নির্বাচন দিতে যাচ্ছে৷