দৈনিকবার্তা-নারায়ণগঞ্জ,৮ডিসেম্বর : নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডার মামলায় র্যাবের আরো এক সদস্য হাবিলদার আবুল কালাম আজাদ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে৷ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট চাঁদনী রম্নপমের আদালতে এ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়৷ গত ০১ ডিসেম্বর রাতে কুমিলস্না র্যাব-১১র কার্যালয় থেকে আবুল কালাম আজাদসহ মোট তিনজন র্যাব সদস্যকে গ্রেফতার করে পরদিন সকালে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ৷ আদালত তিনজনকেই সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে৷ রিমান্ডে খাকা অবস্থায় ইতিমধ্যে অপর দুই র্যাব সদস্য এ.এস.আই বজলুর রহমান ও হাবিলদার নাসিরউদ্দিন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন৷ এই নিয়ে নারায়ণগঞ্জে সেভেন মার্ডারের ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করে এবং হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে র্যাবের সাবেক তিন কর্মকতর্াসহ ১৬ জন র্যাব সদস্যসহ মোট ১৯ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন৷ র্যাবের ৯ সদস্যসহ মোট ১৬ জন আদালতে স্বাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন৷ সাৰীসহ জবানবন্দি গ্রহন করা হয়েছে ৩৫জনের৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে এ পর্যনত্ম র্যাবের ১৬ জনসহ মোট ২৯ জনকে ৷
বাদি পৰের আইনজীবি সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, আদালতে জবানবন্দি দেয়া র্যাব সদস্য হাবিলদার আবুল কালাম আজাদ সেভেন মার্ডারের ঘটনার শুরম্ন থেকে সাতজনকে কিভাবে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে তার বিসত্মারিত বর্ণনা দিয়েছে৷ ঘটনার সাথে নিজের সংশিস্নষ্টতাসহ কিলিং মিশনে র্যাবের কারা কারা জড়িত তাদের বিসত্মারিত বিবরণ তার জবানবন্দিতে উলেস্নখ করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন৷ পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয় জনের ও পরদিন ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ৷ এই ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরম্নল ইসলামসহ ৫ জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ফতুলস্না মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন৷ অন্যদিকে আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে পৃথক অপর একটি মামলা দায়ের করেন ফতুলস্না মডেল থানায়৷