Abbas-Fakhrul

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর: সরকারের পতন ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে কনভেনশনের ডাক দিয়েছেন নব্বইয়ের ডাকসু ও ছাত্র ঐক্যের নেতারা৷ দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর শপথ নেবে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য৷

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কনভেনশনের ঘোষণা দেন ডাকসুর সাবেক ভিপি, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান৷ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকনসহ আরো অনেকেই৷

আমানউল্লাহ আমান বলেন, ৫ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচনের নামে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছে৷তত্‍কালীন সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের চেয়ে নিকৃষ্ট এক ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার এমন অভিযোগ করে আমান বলেন, এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না৷ মেনে নেওয়া যায়না৷ আমরা ১৯৯০ সালে ১ অক্টোবরের মতো তত্‍কালীন ও বর্তমান ছাত্র নেতাদের সমন্বয়ে ঢাকায় একটি ছাত্র কনভেনশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷

১৮ ডিসেম্বর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে ওই কনভেনশন হবে এ তথ্য জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে কনভেনশনে উপস্থিত থাকবেন৷আমান বলেন, আমরা শপথ নিতে চাই, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা ঘরে ফিরব৷আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে৷ ২০ দলীয় জোটের নেতা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কনভেনশনে উপস্থিত থেকে সরকার পতনের আন্দোলনের দিক-নির্দেশনা দেবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা৷

নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতারা ছাড়া অন্য কোনো ছাত্র সংগঠনের নেতাদেরকে সংবাদ সম্মেলনে দেখা যায়নি৷ সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সাবেক নেতা হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়৷ তাদের প্রায় সবাই বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত৷সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৮ ডিসেম্বর দিনব্যাপী এ কনভেনশনে তত্‍কালীন ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও সে সময়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ও বর্তমান ছাত্রনেতারা যোগ দেবেন৷

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আমান উল্লাহ আমান বলেন, টানা ৯ বছরব্যাপী স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় হয়েছিল তত্‍কালীন ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতৃত্বে৷ তখন ৭ দলীয় জোটের নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এ আন্দোলনের দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন৷

এ কনভেনশনেও খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সরকার পতনের আন্দোলনের দিক-নির্দেশনা দেবেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আপনারা জানেন, দানবীয় শাসকদের উত্‍খাত করে দেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই হলো তার জীবনের শেষ চ্যালেঞ্জ৷এ সংগ্রামে তিনি থাকবেন সকলের অগ্রভাগে৷ আমরা শপথ নিতে চাই, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সরকারের পতন ঘটিয়েই আমরা ঘরে ফিরবো৷

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, আনর্্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন আলম, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চোধুরী এ্যানী,ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ৷