দৈনিকবার্তা-গাইবান্ধা, ৮ ডিসেম্বর: উত্তরের হিমেল হাওয়ার প্রবাহ শুরু হওয়ায় গত শনিবার রাত থেকে গাইবান্ধার জেলা সর্বত্র হঠাত্ করেই কনকনে ঠান্ডা বাতাসের সাথে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে৷ দিনভর সূর্যের আলো দেখা যায়নি৷ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে প্রকৃতি৷ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত ঝড়ছে কুয়াশা৷ সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে কিছু কিছু সড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়৷ শীতে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা এতে কষ্ট পাচ্ছে বেশি৷ শীতের কবল থেকে বাঁচার জন্য গ্রামাঞ্চলে লোকজন খড়কুটো জ্বালিয়ে গা গরম করছে৷
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জেলা-উপজেলা সদরে লোকজনের আসা-যাওয়া অনেক কমে গেছে৷ ঘন কুয়াশার কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্য নদ-নদীতে নৌ চলাচল বিঘি্নত হচ্ছে৷ ফলে মূল ভূমির সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাহত হয়ে পড়েছে৷ তীব্র শীতের প্রকোপে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিত ছিন্নমুল, নদী তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চলের মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন৷ শীতের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন৷ বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েশিশু ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর, মাথা ব্যাথাসহ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে৷ গৃহ পালিত পশু-পাখিরও বেহাল দশা৷ গত কয়েকদিন থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করায় সরিষা গাছের ফুল ঝড়ে পড়তে শুরু করেছে এবং বোরো বীজতলায় বীজধানের গাছগুলো লাল হতে শুরু করেছে৷
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়নি৷ অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাও এবার তেমন একটা শীতবস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসেনি৷ ফলে দু:স্থ শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে৷