দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিকট শব্দে দু’টি হাতবোমা’র বিস্ফোরণ ঘটেছে৷ এতে সাত ছাত্রদলকর্মী ও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন৷শনিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে৷ আহতদের উদ্ধার করে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে৷ সেখানে তাদের চিকিত্সা চলছে৷
আহতরা হলেন-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ ভূইয়া, ছাত্রদলকর্মী তুহিন (২০), নজরুল (২৩), ঢাকা কলেজ ছাত্রদলকর্মী রাসেল (২২), রাসেল (২২),মোরাদ হোসেন হিরা, ঢাকা পলিটেকনিক্যাল কলেজের নাঈম (২৩) ও অপর ছাত্রদলকর্মীর নাম পাওয়া যায়নি৷ এছাড়া ৬৫ বছর বয়সের ইসাসির নামের এক পথচারী আহত হন৷ আহতদের বেশিরভাগেরই পা জ্বলসে গেছে৷ এর মধ্যে হিরার পায়ের দুইটি আগুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সক৷পল্টন থানার ওসি মোর্শেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুইটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে৷ তবে এখনো কাউকে আটক করা যায়নি৷
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকট শব্দে দু’টি ‘হাতবোমা’র বিস্ফোরণে আটজন আহত হয়েছেন৷ তাদের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে৷এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রেবলা সাড়ে ১১টার দিকে দু’টি ককটেল বিস্ফোরণে দুই পথচারীও সামান্য আহত হন৷
টওত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হঠাত্ করেই কার্যালয়ের সামনে বিকট শব্দে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে৷ এ সময় লোকজন ভয়ে পালাতে থাকে৷ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে কার্যালয়ের আশপাশে থাকা মানুষ৷ককটেল বিস্ফোরণের পরই পুলিশ সদস্যরা নড়েচড়ে বসেন এবং কোথায় থেকে কে এই ককটেল নিক্ষেপ করলো তা খোঁজার চেষ্টা করে৷ কিন্তু কিছুক্ষণ পর উল্টো হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটলো৷ তবে কারা কী কারণে এই বোমা ফাটিয়েছে, তা জানা যায়নি৷পল্টন থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, বিস্ফোরণে অন্তত দুজন আহত হয়েছেন৷
আহতদের নাম-পরিচয় তাত্ক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ৷ আশপাশের লোকজন তাত্ক্ষণিকভাবে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় তাদের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি, বলেন ওসি৷ছাত্রদলের কোন্দলকে কেন্দ্র করে গত মাসে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল৷তবে এবারের বিস্ফোরণ কারা ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কে পুলিশ কিংবা স্থানীয় কেউ কোনো ধারণা দিতে পারেনি ৷