দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর: দিন দিন বাড়ছে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি৷ আর এ ঋণ প্রবাহ মোট দেশজ উত্পাদনে (জিডিপি) বাড়তি অবদান রাখছে৷ ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জিডিপিতে ব্যাংকিং খাতের অবদান ছিল ৪৬ শতাংশ৷ ২০১৩ সাল শেষে তা বেড়ে হয় ৫৫ শতাংশ৷
শনিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইন্সস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে ‘বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন-২০১৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর ড. আতিউর রহমান এ কথা বলেন৷বিআইবিএম তৃতীয়বারের মতো এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে৷গভর্নর বলেন, ২০০৮-০৯ সাল থেকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো কেবলমাত্র মূলধারার অর্থনীতিতে অর্থায়ন করেছে৷ কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষকে অনত্মর্ভূক্ত করে প্রকৃত অর্থায়ন করার চেষ্টা করেছি৷ এ কারণে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর নজরদারি ও ভূমিকার কারণে ব্যাংকিং খাতের কিছু বড় অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে৷ ব্যাংকিং খাতকে দ্রুত আধুনিকায়ন করায় এটা সম্ভব হয়েছে৷ এখন ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার, অনলাইনে ঋণের তথ্য ও তদারকি সহজতর হয়েছে৷অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে বিআইবিএম মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশে ৮ কোটি ৫০ লাখ ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে৷ যার মধ্যে ৩ কোটির মত রয়েছে স্কুল ব্যাংকিং ও কৃষকের ১০ টাকার একাউন্ট৷
তিনি জানান, ব্যাংকগুলোর কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ছে৷ ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ৷ এই ঋণ প্রবৃদ্ধির ফলে কৃষি খাত জিডিপিতে অতিরিক্ত ৫ দশমিক ৭ শতাংশ অবদান রাখতে পারছে বলে তিনি জানান৷অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা ছাড়াও কেন্দ্রিয় ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন৷