দৈনিকবার্তা-মঠবাড়ীয়া, ৪ ডিসেম্বর : তিন দিন ধরে তালা ঝুলছে মঠবাড়ীয়ার সংখ্যালঘু এক ব্যাবসায়ীর ব্যবাবসা প্রতিষ্ঠানে৷ গত সোমবার(১/১২/১৪) সকাল ১১ টায় তালা লাগান সঞ্জয় কর্মকারের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামীলীগ নোতা ও বর্তমান উপজেলা আশরাফুল ইসলাম৷ চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী সোমবার রাতে তার কাছে ধরনা দিলেও তাঁর এতটুকু দয়া-মায়া হয়নি৷আশরাফুল ইসলাম কখনো জমিতে লাল পতাকা পুতে রাখার হুমকি দেন৷কখনো জমি বিক্রির দলিল দিবেন কিনা জানতে চান৷ কখোনো দোকান থেকে ব্যাবসায়ীকে বের করে তালা লাগান৷যখন যা মন চায় তিনি তখন তাই করেন৷মঠবাড়ীয়ার সংখ্যালঘুরা যেন তাঁর হাতের পুতুল৷কোন আইনের তোয়াক্কা না করে নিজের নিয়মে চলেন তিনি৷তার ওপড়ে কেউ আছেন বলে তিনি মনে করেননা৷তিনি মঠবাড়ীয়াতে রাম রাজত্ব কায়েক কেরেছেন৷ আওয়ামীলীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় উপজেলার সকল মানুষ তাঁকে ভয় করে৷ তাঁর ভয়ে উপজেলার সকলে সব কিছু মুখবুঝে সহ্য করেন৷ ব্যাবসায়ী নিজেও জানেনা কি তাঁর অপরাধ৷চেয়ারম্যান সরকার দলীয় হওয়ায় প্রশাসন থেকে সুফল পাবেনা বিধায় সে প্রশাসনের দ্বারস্ত হতে সাহস পাচ্ছেন না৷এমনিতেই সংখ্যালঘু হয়ে বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করাটা অন্যায় তদুপরি দুমুঠো অন্নের যোগান দিতে ব্যাবসায়ীদের ব্যাবসা ছাড়া উপায়নেই৷
মঠবাড়ীয়ার সংখ্যালঘুদের ওপড় নিযর্াতন ১৯৭১ সাল থেকে শুরু হয়েছে আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি৷প্রতিদিন পত্র পত্রিকায় মঠবাড়ীয়ার কোন হিন্দুর একাত্তরের দঃুসহ স্মৃতির কথা পড়ি৷ আমরা আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে জানি সংখ্যালঘুদের৷ এই সংখ্যাংলঘুদের সর্বশান্ত করা হচ্ছে৷ আসলে চেয়ারম্যান কোন পথে এগুচ্ছেন৷ কোন বিশেষ দলের হয়ে তিনি কাজ করছেন নাতো?৷হিন্দুরা বিতারিত হওয়া মানেই সে হিন্দু আর কোন দিনই অওয়ামীলীগকে ভোট দেবেনা৷অন্যের দোষ এই ব্যাবসাযীর ওপড় চাপিয়ে তাঁর ঘরে তালা লাগানোটা অপরাধের বলে মনে করেন এলাকার সাধারন মানুষ৷