চোরাই ২টি প্রাইভেটকার,

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর : গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ বসুন্ধরা আবাসিক, ইর্স্টাণ পস্নাজা এবং আজিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়ী চোর ও ছিনতাই চক্রের দলনেতাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে৷ গ্রেফতারকৃতরা হলো- দলনেতা ১৷ ইকবাল হোসেন ওরফে ইকবাল ওরফে কামাল হোসেন ওরফে রানা ওরফে তামিম ২৷ মোঃ জাবেদ ৩৷ মুশরেকিন আহাম্মেদ রাব্বী ওরফে যুবরাজ ৪৷ আলী হোসেন ও ৫৷ মোঃ মহসিন৷ তাদের হেফাজত হতে দুইটি প্রাইভেটকার, বিআরটিএ এর জাল কাগজ পত্র, সিল, বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন ব্যাংকের পে অর্ডার, ০৯ টি বিআরটিএ এর জাল রেজিঃ সনদপত্রের ফরম, ৩০ টি নকল ফিটনেস সনদপত্রের ফরম, ২০৬ টি জাল কর পরিশোদ সনদপত্রের ফরম, ৫৮ টি জাল মানি রিসিপ্ট ফরম, ৮৩৬ টি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর জাল পে-অর্ডার, ৬০০ টি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এর জাল পে-অর্ডার, ৯০০ টি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এর জাল পে-অর্ডার, ৮০০ টি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড এর জাল পে-অর্ডার, ৮৬০ টি ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এর জাল পে-অর্ডারসহ সর্বমোট ৩৯৯৬ টি পে-অর্ডার এবং বিআরটিএ, ইনস্যুরেন্স কোম্পানী, ব্যাংক, পুলিশ কর্মকর্তার নাম সম্বলিত মোট ০৮টি নকল সীল উদ্ধার করা হয়৷ গত ০১/১২/২০১৪ তারিখে গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ, গাড়ী চুরি/ছিনতাই প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম ঢাকা মহানগরীর বসুন্ধরা আবাসিক ও ইর্স্টাণ পস্নাজা এলাকা হতে কুখ্যাত গাড়ী চোর ও ছিনতাই চক্রের দলনেতা ইকবাল হোসেন, মোঃ জাবেদ, মুশরেকিন আহাম্মেদ রাব্বীদের গ্রেফতার করে৷ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য মতে মিরপুর থানাধীন মধ্য পাইকপাড়া এলাকা হতে একটি এলিয়ন প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয় ও শাহাবাগ থানাধীন বাংলামোটর লিংক রোড হতে একটি এফ প্রিমিও প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়৷ উক্ত গাড়ী হতে জাল চেসিস নম্বর এর অনুকূলে নকল ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র পাওয়া যায়৷ গ্রেফতারকৃত ইকবাল ও জাবেদ গাড়ী চুরি করে এবং জাবেদ জাল চেসিস নম্বর প্রতিস্থাপন করে এবং মুশরেকিন আহাম্মেদ রাব্বী উক্ত চোরাই গাড়ীর রং পরিবর্তন সহ নকল কাগজ পত্র তৈরী করে, বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা এবং OLX ওয়েবসাইটে গাড়ী বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে চোরাই গাড়ীগুলো বিক্রি করে থাকে৷ এলিয়ন প্রাইভেটকারটি গুলশান থানার মামলা নং ০৫(৪)১৪ ধারা ৩৭৯ পিসি এবং এফ প্রিমিও প্রাইভেটকারটি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার মামলা নং ০৭(১১)১৪ ধারা ৩৭৯ পিসি রম্নজু করা হয়েছিল৷ গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে ইকবাল ও মোঃ জাবেদকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ জাল ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র সংক্রানত্মে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক ০৩/১২/২০১৪ তারিখ রাত ১২.৩০ টায় গাড়ী চুরি ছিনতাই প্রতিরোধ ও উদ্ধার দলটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অপরাপর সহযোগী আলী হোসেন ও মহসিনকে গ্রেফতার করা হয়৷ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিআরটিএ এর জাল কাগজসহ বিভিন্ন ব্যাংকের নকল পে-অর্ডার তৈরির কথা স্বীকার করে৷ গ্রেফতারকৃত ইকবাল, জাবেদ, আলী হোসেন ও মহসিনের দেয়া তথ্য মোতাবেক মহসিনের ভাড়াটিয়া বাসা হতে ০৯ টি বিআরটিএ এর নকল রেজিঃ সনদপত্রের ফরম, নকল ফিটনেস সনদপত্রের ফরম ৩০ টি, নকল কর পরিশোদ সনদপত্রের ফরম ২০৬ টি, নকল মানি রিসিপ্ট ফরম ৫৮ টি, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর জাল পে-অর্ডার ৮৩৬ টি, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এর জাল পে-অর্ডার ৬০০ টি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এর জাল পে-অর্ডার ৯০০ টি, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড এর জাল পে-অর্ডার ৮০০ টি, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এর জাল পে-অর্ডার ৮৬০ টিসহ সর্বমোট ৩৯৯৬ টি পে-অর্ডার, বিআরটিএ, ইনস্যুরেন্স কোম্পানী, ব্যাংক, পুলিশ কর্মকর্তার নাম সম্বলিত মোট ০৮টি জাল সীল উদ্ধার করা হয়৷ বিভিন্ন ব্যাংকের পে-অর্ডারগুলো তারা প্রতারণার মাধ্যমে বিআরটিএতে টাকা জমা দেয়ার কথা বলে সাধারণ জনসাধারণের কাছে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে৷ তাছাড়া বিভিন্ন টেন্ডারের কাজে ও বড় রকমের লেনদেনে নকল পে-অর্ডার ব্যবহার করে প্রতারণা করে থাকে৷ উলেস্নখ্য, গ্রেফতারকৃত ইকবাল ও রাব্বী ইতোপূর্বে একাধিকবার চোরাই গাড়ীসহ ডিবি ও থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছিল৷ বিজ্ঞ আদালত হতে জামিন নিয়ে পুনরায় একই পদ্ধতি অবলম্বন করে গাড়ী চুরি ও বিক্রি অব্যাহত রেখেছে৷ ইকবাল এর বিরম্নদ্ধে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানায় ০৯টি গাড়ী চুরি ও ময়মনসিংহ জেলার, ভালুকা থানার একটি হত্যা মামলার আসামী এবং রাব্বীর বিরম্নদ্ধে ০৪টি গাড়ী চুরি ও প্রতারণার মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে৷ গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ (দৰিণ) এর ডিসি কৃষ্ণ পদ রায় পিপিএম এর নির্দেশনায়, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুলস্নাহ আল মামুন এর দিক নিদের্শনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ মুহিদুর রহমান নেতৃত্বে গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগের গাড়ী চুরি/ছিনতাই উদ্ধার ও প্রতিরোধ দল এ অভিযান পরিচালনা করে৷